ব্যাটিং, বোলিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের বড় হার

ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও অনুজ্জ্বল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গে তাই লড়াইও করতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরাহর দাপুটে বোলিংয়ে ছোট লক্ষ্য পাওয়া ভারত অনায়াসে জিতল অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2018, 11:05 AM
Updated : 21 Sept 2018, 06:21 PM

ভারতের ৭ উইকেটের জয়

রোহিত শর্মার ফিফটি আর দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির ওপর ভর করে সহজেই জিতল ভারত। সুপার ফোরে বাংলাদেশকে হারাল ৭ উইকেটে।

১৭৪ রানের লক্ষ্য ৮২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় ভারত। অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। তার ১০৪ বলের ইনিংসে ৫টি চারের পাশে ৩টি ছক্কা।

একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আগামী রোববার সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: (লক্ষ্য ১৭৪) ৩৬.২ ওভারে ১৭৪/৩ (রোহিত ৮৩*, ধাওয়ান ৪০, রাইডু ১৩, ধোনি ৩৩, কার্তিক ১*; মাশরাফি ১/৩০, মিরাজ ০/৩৮, মুস্তাফিজ ০/৪০, সাকিব ১/৪৪, রুবেল ১/২১)

ধোনিকে ফেরালেন মাশরাফি

ছক্কায় ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। লক্ষ্য পূরণ হলো না। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ভারতের কিপার ব্যাটসম্যান।

ফুল লেংথের বলে সুইপার কাভারে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন ধোনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৪ রানের জুটি।

৩৭ বলে তিন চারে ৩৩ রান করে ধোনি ফিরে যাওয়ার সময় ৩৫.৩ ওভারে ভারতের স্কোর ১৭০/৩। ক্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গী দিনেশ কার্তিক।

রোহিত, ধোনি জুটির পঞ্চাশ

তৃতীয় উইকেটে দ্রুত রান তুলছেন রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাদের ব্যাটে বড় জয়ের পথে এগোচ্ছে ভারত।

তৃতীয় উইকেটে রোহিত-ধোনির জুটির রান পঞ্চাশে যায় ৪৮ বলে।

৩২ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৫৯/২। রোহিত ৭৭ ও ধোনি ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

রিভিউ নিয়ে রাইডুকে ফেরাল বাংলাদেশ

দারুণ বোলিং করা রুবেল হোসেন সাফল্য পেলেন দ্বিতীয় ওভারে। ফিরিয়ে দিলেন অম্বাতি রাইডুকে।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন রাইডু। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান রাইডু।

২৮ বলে ১৩ রান করেন রাইডু। তার বিদায়ের সময় ভারতের স্কোর ১০৬/২। ক্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গী মহেন্দ্র সিং ধোনি।

রোহিতের ফিফটি, ভারতের একশ

এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিলেন রোহিত শর্মা। অধিনায়কের ব্যাটে টানা তৃতীয় জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।

সাকিব আল হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চাশে যান রোহিত। সেই সঙ্গে দলের রান নিয়ে যান তিন অঙ্কে।

৬৩ বলে আসে রোহিতের ফিফটি। এই সময়ে চারটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ওপেনার।

২৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১০৫/১। রোহিত ৫১ ও অম্বাতি রাইডু ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

ধাওয়ানকে ফেরালেন সাকিব

স্পিন ভোগাচ্ছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। সেই স্পিনেই এলো প্রথম সাফল্য। সাকিব আল হাসান ফিরিয়ে দিলেন শিখর ধাওয়ানকে। ভাঙলো ভারতের ৬১ রানের শুরুর জুটি।

সাকিবের বাঁহাতি স্পিন সুইপ করতে চেয়েছিলেন ধাওয়ান। ব্যাটে খেলতে পারেননি, ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে।

৪৭ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় ৪০ রান করে ফিরেন ধাওয়ান। তার বিদায়ের সময় ১৪.২ ওভারে ভারতের স্কোর ৬১/১।

রোহিত-ধাওয়ান জুটির পঞ্চাশ

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভারতকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ৫৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে তাদের জুটির রান। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভারতের শুরুর জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।    

১০ ওভার শেষে ভারতের রান ৫১/০। ধাওয়ান ৩৫ ও রোহিত ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন। তবে খরুচে ছিলেন দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের ভালো শুরু

শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মার ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে ভারত। দুই ওপেনারের ব্যাটে দ্রুত এগোচ্ছে তারা।

প্রথম ৭ ওভারে পাঁচটি বাউন্ডারি পেয়েছে দলটি। ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৩৪ রান। রোহিত ১৩ ও ধাওয়ান ২১ রানে ব্যাট করছেন।

ভারতের সামনে ১৭৪ রানের লক্ষ্য

পুরো ৫০ ওভার খেলা হল না বাংলাদেশের। ৫০তম ওভারের প্রথম বলে তাদের গুটিয়ে দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

বুমরাহকে উড়ানোর চেষ্টায় শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। ৯ বলে তিনি করেন ৩ রান। 

৪৯ ওভার ১ বলে ১৭৩ রানে থমকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। নয় নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের আর কেউ যেতে পারেননি ত্রিশ পর্যন্ত।

২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। তিনটি করে উইকেট নেন দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও বুমরাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৯.১ ওভারে ১৭৩ (লিটন ৭, শান্ত ৭, সাকিব ১৭, মুশফিক ২১, মিঠুন ৯, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মোসাদ্দেক ১২, মাশরাফি ২৬, মিরাজ ৪২, মুস্তাফিজ ৩, রুবেল ১*; ভুবনেশ্বর ৩/৩২, বুমরাহ ৩/৩৭, চেহেল ০/৪০, জাদেজা ৪/২৯, কুলদীপ ০/৩৪)

৪২ করে ফিরলেন মিরাজ

মাশরাফি বিন মুর্তজার বিদায়ের পরের ওভারে ফিরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

জাসপ্রিত বুমরাহকে পুল করে উড়াতে চেয়েছিলেন তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। টাইমিং করতে পারেননি। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ মুঠোয় নেন শিখর ধাওয়ান।

৫০ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৪২ রান করে ফিরেন মিরাজ। তার বিদায়ের সময় ৪৭.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৯/৯। 

মাশরাফিকে থামালেন ভুবনেশ্বর

বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ফিরিয়ে দিলেন চড়াও হওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।

লং অন দিয়ে উড়নোর পর ভুবনেশ্বরের মাথার ওপর দিয়ে আরেকটি ছক্কা তুলে নেন মাশরাফি। পরের বলটি ছিল ফুলটস, অধিনায়াক ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি তুলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাচ যায় সরাসরি শর্ট ফাইন লেগ ফিল্ডার জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে।

৩২ বলে ২৬ রান করে ফিরেন মাশরাফি। ভাঙে ৬৬ রানের জুটি।

মিরাজ-মাশরাফি জুটির পঞ্চাশ

অষ্টম উইকেটে এসে নিজেদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে লড়ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

৩৪তম ওভারে দলীয় ১০১ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন আউট হলে মাশরাফির সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিরাজ। এসেই শট খেলতে শুরু করেন মিরাজ, তাকে স্ট্রাইক দিয়ে যান মাশরাফি। ৬৯ বলে আসে তাদের জুটির ফিফটি।

৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫২/৫। মাশরাফি ১২ ও মিরাজ ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।

উইকেট ছুড়ে এলেন মোসাদ্দেক

মন্থর এক ইনিংস খেলা মোসাদ্দেক হোসেন ছুড়ে এসেছেন নিজের উইকেট। তাকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। তার ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে।

৪৩ বলে ১২ রান করে ফিরেন মোসাদ্দেক। ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৭। ক্রিজে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। 

ছবি: এসিসি

আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট মাহমুদউল্লাহ

আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। বল ব্যাটে খেলার পরও এলবিডব্লিউ হলেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ভুবনেশ্বর কুমারের ভেতরে ঢোকা বল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু রিভিউ ছিল না বাংলাদেশের, সেটি নষ্ট করে গেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

হতাশায় মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। ৫১ বলে খেলা ২৫ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি তিনটি।

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০১/৬। ক্রিজে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা।

উইকেট ছুড়ে এলেন মুশফিক

সময়ের দাবি মেটাতে পারলেন না মুশফিকু রহিম। দ্রুত ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখাতে পারলেন না এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। রিভার্স সুইপ করে ক্যাচ দিয়ে উল্টো দলের বিপদ আরও বাড়ালেন তিনি।

রবীন্দ্র জাদেজার বাঁহাতি স্পিনে রিভার্স সুইপ করে শর্ট থার্ড ম্যানে যুজবেন্দ্র চেহেলের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ৪৫ বলে খেলা তার ২১ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি একটি।

২০১৪ সালের পর ওয়ানডেতে কোনো ইনিংসে তিন উইকেট পেলেন জাদেজা।

১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৫/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।

বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন মিঠুন

রবীন্দ্র জাদেজার আগের ওভারে আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ মিঠুন। ভারত অধিনায়ক রিভিউ নিলে এলবিডব্লিউ হয়ে যেতেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সেবার বেঁচে যাওয়া মিঠুন এলবিডব্লিউ হলেন জাদেজার বলেই।

বাঁহাতি স্পিনারের বল পা বাড়িয়ে খেলেছিলেন মিঠুন। ব্যাটের আগে বল লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। ১৯ বলে ৯ রান করে ফিরে যান মিঠুন।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬০/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

পাওয়ার প্লেতে নেই ৩ উইকেট

প্রথম পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে এই সময়ে হারিয়েছে দলটি।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪/৩। মুশফিকুর রহিম ৯ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১ রানে ব্যাট করছেন।

দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। দ্রুত রান তোলা সাকিব আল হাসান যেতে পারেননি বেশি দূর।

সাকিবকে ফেরালেন জাদেজা

রবীন্দ্র জাদেজাকে টানা দুই চার হাঁকিয়ে ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।

কাভার দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠানোর পর সুইপ করে স্কয়ার লেগ দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি তুলে নেন সাকিব। জাদেজার পরের বলে আবার সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

১২ বলে তিন চারে ১৭ রান করে ফিরেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় ৯.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪২/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।

বাজে শটে শান্তর বিদায়

টিকলেন না আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও। বাজে শটে ফিরে গেলেন তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আঁটসাঁট বোলিং করে যাওয়া জাসপ্রিত বুমরাহর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন শান্ত। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ক্যাচ মুঠোয় নেন শিখর ধাওয়ান।

১৪ বলে ৭ রান করে ফিরে যান শান্ত। ৫.১ ওভারে তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৬/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

বাউন্সারে ফিরলেন লিটন

এশিয়া কাপে টানা তিন ম্যাচে লিটন দাস ব্যর্থ হলেন দুই অঙ্কে যেতে। ভুবনেশ্বর কুমারের বাউন্সার ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন। টাইমিং করতে পারেননি তরুণ এই ওপেনার। বেশ কিছুটা এগিয়ে ঝাঁপিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন কেদার যাদব।

১৬ বলে ১ চারে ৭ রান করে ফিরে যান লিটন। ৪.৩ ওভারে তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৫/১। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

ভারত দলে পান্ডিয়ার জায়গায় জাদেজা

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়া ভারত দলে একটি পরিবর্তন এসেছে। চোটের জন্য টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গায় একাদশে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, অম্বাতি রাইড়ু, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চেহেল, রবীন্দ্র জাদেজা, জাসপ্রিত বুমরাহ।

একাদশে ফিরলেন মুশফিক, মুস্তাফিজ

এক ম্যাচের বিশ্রাম শেষে একাদশে ফিরেছেন কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

টিকে গেছেন অভিষেকে তেমন কিছু করতে না পারা ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বাদ পড়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার। 

বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টানা দুই ম্যাচে টস হেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পেল ব্যাটিং। 

তবেব টস হেরেও পূরণ হল মাশরাফির আশা। অধিনায়ক জানান, টস জিতলে ব্যাটিংই নিতেন তিনি।

আগের ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ভারত। রোহিত জানান, লক্ষ্য তাড়া করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন তারা।

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ

আফগানদের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে উড়ে যাওয়া বাংলাদেশ জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করতে আত্মবিশ্বাসী।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যতটা দাপুটে জয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারটা ছিল ততটাই একপেশে। প্রথম ম্যাচে ১৩৭ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৬ রানে হার। তবে এই হারে কাতর হয়ে ডুবে থাকার সুযোগই দেখেন না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আবু ধাবির ব্যর্থতা সেখানেই ফেলে এসে দুবাইয়ে নতুন শুরু চায় বাংলাদেশ।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়।