বুয়েটের শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির নদীতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছে ঢাকার আদালত।
বুধবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম তা দিতে পারেননি।
পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পঞ্চমবারের মত পেছাল বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মতিয়ার রহমান মিঞা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ জনের একটি দল গত বছরের ১৪ জুলাই ঢাকা থেকে আটটি মোটরসাইকেলে করে দোহারের মৈনটঘাটে ঘুরতে যায়। রাতে ঘাটের তীরে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন সানি। বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯- এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকেন।
পুলিশ গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৫ জুলাই বিকালে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান সানির সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার ১৫ আসামি হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
তাদের মধ্যে ১০ জন হাই কোর্ট থেকে জামিনে আছেন। বাকি পাঁচজন কারাগারে।