মৈনট ঘাটে ডুবে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ সফরসঙ্গী রিমান্ডে

ঢাকার দোহার উপজেলায় পর্যটন স্পট মৈনট ঘাটে পদ্মা নদীতে ডুবে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ সফরসঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদককেরানীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ  প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2022, 11:26 AM
Updated : 16 July 2022, 11:26 AM

শনিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আশরাফ উজ্জামান হত্যা মামলার আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামছুল আলম প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তারিকুজ্জামান সানি সাঁতার জানতেন না। বৃহস্পতিবার সানিকে কৌশলে আসামিরা পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে ঘুরতে নিয়ে যায়। আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সানিকে পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করে।

আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ১৬ জনের একটি দল আটটি মোটরসাইকেলে করে মৈনট ঘাটে ঘুরতে আসে। রাতে ঘাটের তীরে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সানী। এ সময় তার বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকে।

পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশের কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল।

শুক্রবার রাতেই নিহতের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইকে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ এনে সফরসঙ্গী ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

শনিবার সকালে রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

তারিকুজ্জামান সানি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডাঙ্গুর বেপারীকান্দি গ্রামের হারুন-উর রশীদের ছেলে ও বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আরও পড়ুন: