পদ্মা নদীতে ডুবে এ শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার ঘটনায় তার সফরসঙ্গী ১৫ জনকে আসামি করে তার ভাই মামলা করেছিল।
Published : 15 Dec 2022, 04:37 PM
আরেক দফা পিছিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির নদীতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি ঠিক করেছে ঢাকার আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
পরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
আদালতে দোহার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক শওকত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা চতুর্থবারের মত পেছাল।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ জনের একটি দল গত ১৪ জুলাই ঢাকা থেকে আটটি মোটরসাইকেলে করে দোহারের মৈনটঘাটে ঘুরতে যায়। রাতে ঘাটের তীরে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সানি। এ সময় তার বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকে।
পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইকে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ এনে সফরসঙ্গী ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।
এ মামলার ১৫ আসামি হলেন-শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
এদের মধ্যে ১০ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। বাকি পাঁচজন কারাগারে।