পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ভবনের মালিক দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বিস্ফোরণের পরদিন বুধবার দুই ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমানকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়।
দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ মহিদ উদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তাদের কাছে ভবন নির্মাণে অনুমতি, ভাড়াটিয়া কতজন, কোথায় সেফটিক কিংবা রিজার্ভ ট্যাংক আছে, বেজমেন্ট এলাকায় ভাড়া দেওয়ার বৈধতা বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছি।”
তাদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সাততলা এই বাণিজ্যিক ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। এক সময় তিনি ক্যাফে কুইন নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন এই ভবনে, সেজন্য স্থানীয়রা ভবনটি ক্যাফে কুইন বিল্ডিং নামে চেনে।
রেজাউর অনেক দিন আগে মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তার তিন ছেলে এর মালিক। মশিউর রহমান নামে এক ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ওয়াহিদুর এবং সবার ছোট মতিউর ঢাকায় থাকেন। তারাই ভবনের দেখাশোনা করেন।
তাদের ছাড়াও ভবনের ভাড়াটিয়াসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো.জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজউক, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
“তারা যদি প্রতিবেদন দেয় ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল, ভবন মালিকদের গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, সেই মামলাটিতে ধারা পরিবর্তন হবে।”
ভবনটিতে বিস্ফোরণে এই পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু। এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
এখানে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি অভিযোগ করলে তার অভিযোগটিও গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপকমিশনার জাফর।