আগামী ২১ এপ্রিল শুনানির আগে এরিকো ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
Published : 16 Apr 2024, 12:24 AM
বড় মেয়েকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকোর বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেছেন ওই শিশুর বাবা ইমরান শরীফ।
সোমবার চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২১ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন।
সন্তানদের জিম্মা পেতে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের মধ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় হাই কোর্ট।
আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা ও ছোট মেয়ে সোনিয়া থাকবে তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা থাকবে বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে। তবে বাবা ও মা দুজনই চাইলে তাদের সব সন্তানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা এরিকো, যা চেম্বার আদালত হয়ে গত ১১ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটির শুনানি ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মূলতবি করেন। এই সময়ের মধ্যে তাকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী এরিকো লিভ টু আপিল করেন।
অপরদিকে বাবা ইমরান শরীফও হাই কোর্টের রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে লিভ টু আপিল করেন, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত ১৫ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ সময় পর্যন্ত মামলার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে ৯ এপ্রিলই দুপুরে বড় মেয়েকে নিয়ে জাপানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন এরিকো।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের ঠিক আগে চেম্বার আদালতে শুনানির সময় আমাদের পক্ষে কেউ ছিল না। বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না, শুনানির সুযোগও পাইনি।”
স্থিতাবস্থার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন ইমরান শরীফ। স্থিতাবস্থার মধ্যে কীভাবে এরিকো বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২১ এপ্রিল দিন রেখেছে।
সোমবার ইমরানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৯ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে চেম্বার আদালত নাকানোর সন্তান নিয়ে দেশত্যাগে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। কিন্তু তার আগে ওইদিনই নাকানো এরিকো ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
“তাকে ইমিগ্রেশনে না আটকালে তিনি কি নিজে নিজে আটকে থাকবেন? ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট তখন চেম্বার আদালতের আদেশের কপি ছিল না। এ কারণে এরিকোকে তার সন্তানকে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি। বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ ছেড়ে যান নাকানো এরিকো।”
আগামী ২১ এপ্রিল এরিকোর করা লিভ টু আপিলের শুনানি হওয়ার কথা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই লিভ টু আপিলের সঙ্গে ইমরানের করা লিভ টু আপিল ও আদালত অবমাননার আবেদন একসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২১ এপ্রিল দিন ঠিক করা হয়েছে। এর আগেই এরিকো ও তার সন্তান বাংলাদেশে আসবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।”