সেই জাপানি মায়ের বিরুদ্ধে শিশুদের বাবার মামলা

আদালতের আদেশে শিশু দুটি রয়েছে তাদের মায়ের কাছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন শিশু দুটির বাবা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2022, 04:54 PM
Updated : 29 Dec 2022, 04:54 PM

দুই সন্তানের জিম্মা পেতে বাংলাদেশে আসা জাপানি নারী নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই শিশু দুটির বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ।

অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বুধবার এই মামলা করেন তিনি। এতে নিজের সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগও করা হয়েছে।

আদালতের কমর্চারী জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাকিম বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নাকানো। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান জাপানে অবস্থানকালে ২০০৮ সালে তাকে বিয়ে করেন নাকানো এরিকো। তাদের তিন সন্তান হয়।

Also Read: হাই কোর্টের রায়: নাকানো-ইমরানের দুই শিশু থাকবে বাবার জিম্মায়

Also Read: জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই মেয়ে, পারিবারিক আদালতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

Also Read: জাপানি মায়ের দুই শিশুর বাবার আচরণে আদালতের উষ্মা

Also Read: জাপানি মায়ের ‘অবমাননাকর‘ ভিডিও অপসারণের নির্দেশ

দাম্পত্য কলহের জেরে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ইমরানের সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেন নাকানো। তখন ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে নাকানোর সঙ্গে থেকে যান।

মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেছিলেন বিচারক।

কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় কয়েক দফা শুনানির পর হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, ঢাকায় নিয়ে আসা দুই মেয়ে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছেই থাকবে। তবে মা সন্তানদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।

তবে ইমরানের আচরণে উষ্মা প্রকাশ করে এবং হাই কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে নাকানোর আবেদনে পরে সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয় যে দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে; তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু বাংলাদেশে তাদের মায়ের কাছেই থাকবে।