শেষের গোলে ভিলাকে হারিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি

৯৪তম মিনিটের গোলে জিতে এক লাফে লিগ টেবিলে দুই ধাপ এগোল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের শুরুর দিকেই দুই দলের জালে জড়াল বল। এরপর খুব চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ। ড্রয়ের পথে যখন লড়াই, শেষ সময়ে গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে উল্লাসে ভাসালেন মাথেউস নুনেস। অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিনে উঠল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা।

বের্নার্দো সিলভা সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মার্কাস র‍্যাশফোর্ড। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন নুনেস। সিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগে তার প্রথম গোল এটি।

আসরে এই নিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল সিটি, অপরাজিত রইল টানা ছয় ম্যাচে। ঘরের মাঠে ভিলার বিপক্ষে লিগে টানা ১৫ ম্যাচ জিতল তারা।

ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে সেরা পাঁচে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হলো সিটির।

৩৪ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে গুয়ার্দিওলার দল। ৩৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে নটিংহ্যাম ফরেস্ট চারে ও ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেড পাঁচে নেমে গেছে।

সমান ৫৭ পয়েন্ট করে নিয়ে চেলসি (৩৩ ম্যাচ) ছয়ে ও ভিলা (৩৪ ম্যাচ) সাতে আছে।

৩৩ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল দুইয়ে, ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার দুয়ারে লিভারপুল।

প্রথম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ভিলা, কিন্তু বক্সে ঢুকে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

সপ্তম মিনিটে গোলের দেখা পায় সিটি। সতীর্থের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে বাইলাইনের কাছ থেকে কাটব্যাট করেন ওমার মার্মাউশ। প্রতিপক্ষের পা ছুঁয়ে যাওয়া বলে ছুটে গিয়ে শট নেন বের্নার্দো সিলভা, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ঠেকিয়ে দিলেও তার গায়ে লেগে বল জড়ায় জালে।

স্বাগতিকদের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। অষ্টাদশ মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান ইংলিশ ফরোয়ার্ড র‍্যাশফোর্ড। বক্সে রুবেন দিয়াসের চ্যালেঞ্জে ভিলার জ্যাকব র‍্যামজি পড়ে গেলে ভিএআরে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল সিটি পেয়েই যাচ্ছিল প্রায়। মার্তিনেস পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে থাকায় কেভিন ডে ব্রুইনের পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে চিপ শট নেন জেমস ম্যাকাটি, পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় বল।

একটু পর গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে র‍্যাশফোর্ডের শট পাশের জালে লাগে। খানিক বাদে ভালো সুযোগ পেয়ে বক্সে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি তরুণ উইঙ্গার ম্যাকাটি।

৮০তম মিনিটে মার্মাউশ ভিলার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচে শেষ সময়ে নুনেসের গোলে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা ইতিহাদ। বাঁ দিক থেকে জেরেমি ডোকুর পাসে দূরের পোস্টে কাছ থেকে শটে বল জালে পাঠান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।