আগামী ৮ সপ্তাহ তিনি ওই বাড়িতে থাকতে পারবেন, বলছেন আইনজীবীরা।
Published : 24 Mar 2024, 06:17 PM
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ।
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সালাম মুর্শেদীর আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম চেম্বার আদালতে এ আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে আগামী আট সপ্তাহ সালাম মুর্শেদীর বাড়িটি এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থাতেই থাকবে, বলছেন আইনজীবীরা।
গত ১৯ মার্চ হাই কোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এক রায়ে গুলশান ২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি ছাড়তে সালাম মুর্শেদীকে আদেশ দেয়।
আপিলে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অনীক আর হক।
অনীক আর হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এই আট সপ্তাহ সালাম মুর্শেদী ওই বাড়িতে থাকতে পারবেন। এরপর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।“
অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানের ওই সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। গুলশানের বাড়িটি আপাতত সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকছে।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাফুফে সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ দাবি করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুদক, রাজউক ও গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সেখানে বিবাদী করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর রুল জারি করে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ। সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় সেখানে।
সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাই কোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রিটের পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট অনীক আর হক ও সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, হাই কোর্টে রাজউক ও দুদকের দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে, গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।
এরপর গত ৩ মার্চ মামলার শুনানি শেষ হয়।
পুরনো খবর