সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে ‘জালিয়াতির তথ্য’ দুদকের প্রতিবেদনে

“সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে,” বলেন দুদকের আইনজীবী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2024, 11:23 AM
Updated : 8 Feb 2024, 11:23 AM

সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর ‘দখলে থাকা’ গুলশানের বাড়ি নিয়ে ‘জালিয়াতির তথ্য’ উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনের বরাতে এ কথা জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। এই বাড়ি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় আছে।”

কয়েক দফা সময় নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়েছে আদালত।

খুরশীদ আলম বলেন, “আদালত বলেছে, বাড়িটির ‘চেইন অব টাইটেল’ (মালিকানা পরম্পরার তথ্য) আমাদের দেখাতে হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দুদককে দাখিল করতে বলা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম।

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

বাড়িটি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৭ জানুয়ারি দাখিল করতে বলেছিল হাই কোর্ট। তবে সেদিন প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রাখা হয়েছিল।

২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট আবেদনের পরদিন সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।

সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), গণপূর্ত বিভাগ ও মুর্শেদীকে নির্দেশ দেয় আদালত। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাই কোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। পরিত্যক্ত ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।