সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে হাই কোর্ট রুলও জারি করেছে।
Published : 01 Nov 2022, 12:54 PM
সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা রাজধানীর গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দশ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে সেসব নথি দাখিল করতে বলেছে আদালত।
বাড়িটি দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
এছাড়া পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি ‘বেআইনিভাবে’ দখল করার অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ১৩ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত রোববার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন। মঙ্গলবার তিনিই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সিইএন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি ‘দখল করে’ বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠিও যুক্ত করা হয়েছে রিট আবেদনে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেওয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে সেই ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেওয়ায় ৪ জুলাই আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের স্বাক্ষরে রাজউক চেয়ারম্যানকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, “বাড়িটি পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে নামজারি ও দলিল সম্পাদন করার অনুমতি প্রদান হয়, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। অদ্যবধি এর জবাব পাওয়া যায়নি।”
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।