বাড়ির ‘চেইন অব টাইটেল’ (মালিকানা পরম্পরার তথ্য), মানচিত্রসহ বিভিন্ন নথি জমা দিয়েছে দুদক।
Published : 13 Feb 2024, 05:45 PM
সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর ‘দখলে থাকা’ গুলশানের বাড়ির নথিপত্র পাওয়ার পর রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে।
এদিন ‘চেইন অব টাইটেল’ (মালিকানা পরম্পরার তথ্য), বাড়ির মানচিত্রসহ বিভিন্ন নথি দুদকের তরফে আদালতে জমা দেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছিল। তখন আদালত চেইন অব টাইটেলসহ বাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলেন। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সেসব নথি দাখিল করল দুদক।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে ‘জালিয়াতির তথ্য’ দুদকের প্রতিবেদনে
সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: তদন্ত প্রতিবেদনের সময় বাড়ল আরেক দফা
সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ, সঙ্গে হুঁশিয়ারি
সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে তদন্তে দুদককে আরও সময়
সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ির নথি হাই কোর্টে দাখিলের নির্দেশ
রিট আবেদনের পরদিন সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।
সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), গণপূর্ত বিভাগ ও মুর্শেদীকে নির্দেশ দেয় আদালত। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দুদককে দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাই কোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। পরিত্যক্ত ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।