গাড়ি বা মোটরসাইকেলের মত মূল্যবান আলামতের মালিকদের পুলিশ কী বলবে, সেই প্রশ্নের নেই কোনো জবাব।
Published : 31 Oct 2024, 01:24 AM
হামলা-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়া থানাগুলোতে ধ্বংস বা খোয়া যাওয়া মামলার নথিপত্র ‘উদ্ধার সম্ভব’ হলেও আলামতের অভাবে ‘ঝুঁকিতে পড়েছে’ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম।
মামলার কপি থানা ছাড়াও স্থানীয় সার্কেল অফিস, আদালতে সংরক্ষিত থাকে। তবে সেগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হলেও তা সময়সাপেক্ষ, পরিশ্রমের বিষয়, সেই সঙ্গে আছে বাড়তি খরচের হ্যাপা।
সবচেয়ে বড় যে সমস্যা বিচারে প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি হল আলামত। থানা ও আশপাশে রাখা আলামতগুলোর সিংহভাগই খোয়া গেছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যাদের গাড়ি বা মোটরসাইকেলের মত মূল্যবান আমানত খোয়া গেছে, তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে, সেই প্রশ্নের নেই কোনো জবাব।
এসব ঘটনায় অনেক মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূল সমস্যা মামলার জব্দ করা বিভিন্ন আলামত। এক্ষেত্রে মামলার বিচার প্রক্রিয়া ঝুলে যেতে পারে, তদন্তে ভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ভুক্তভোগীর বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।”
কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তার কিছু কিছু মনে থাকলে পুনরায় তদন্ত করতে পারবে। পুনরায় স্কেচ, ম্যাপিং, সাক্ষীর জবানবন্দি সবই পুনরায় করতে পারবেন। কিন্তু প্রমাণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। কিছু মামলায় ডকুমেন্টারি এভিডেন্স থাকে, সেগুলো হয়ত উদ্ধার সম্ভব। কিন্তু একটা খুনের মামলায় রক্তমাখা ছুরি থাকে, সেইটা মিসিং হলে আপনি আদালতকে কী দেখাবেন?”
গণ আন্দোলনে সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে পুলিশ-জনতা ‘মুখোমুখির জেরে’ ৫ অগাস্ট থেকে হামলা চালানো হয় দেশের থানা-ফাঁড়ি, পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায়। লুট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় সব। পুলিশের গাড়ি পোড়ানোসহ লুট করা হয় অস্ত্র-গুলি।
সবচেয়ে বেশি হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থানাগুলো। ৫০টি থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জেরে দেখা যায় ২২টি থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বাড্ডা, ভাটারা, খিলগাঁও, পল্টন, খিলক্ষেত, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও ওয়ারী থানা।
হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে আরও অন্তত ১৬টি পুলিশ ফাঁড়ি, হামলা হয়েছে অসংখ্য ট্রাফিক বক্সেও। হামলার শিকার প্রায় প্রতিটি থানায় আসবাব থেকে শুরু করে নথি সংরক্ষণের কম্পিউটার পর্যন্ত পুড়েছে। অনেক থানায় ভাঙচুর করে কম্পিউটারসহ সবকিছু নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ কারণে অনেক মামলার তদন্ত নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। নথি ও প্রমাণপত্রও নতুন করে জোগাড় করতে হবে, সাক্ষীর বক্তব্যও নিতে হবে নতুন করে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “থানাগুলো থেকে কী পরিমাণ মামলা বা অন্যান্য নথি ধ্বংস হয়েছে বা খোয়া গেছে সেটি এখনও আমরা জানতে পারিনি। এটি জানার জন্য আমাদের নিরূপণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”
এসব ঘটনায় তদন্ত ও বিচারে কী প্রভাব পড়তে পারে- এই প্রশ্নে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তে প্রভাব তো পড়বেই। আলামত সাধারণত চার্জশিটের সময় আদালতে জমা দেওয়া হয়, এর আগে থানাতেই রাখেন তদন্ত কর্মকর্তা। থানায় ধ্বংস হওয়া আলামতগুলো পাওয়া যাবে না। কিন্তু নতুন করে মামলার তদন্ত কাজ পরিচালনা করা সম্ভব।”
যেসব নথি ধ্বংস বা খোয়া গেছে, সেগুলো উদ্ধার করা অসম্ভব না হলেও কষ্টসাধ্য জানিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সাবেক এই পুলিশপ্রধান বলেন, “মামলার নথিগুলো পুনর্গঠন করে এগোতে হবে। যেগুলো একেবারেই সম্ভব নয় আদালতকে অবগত করে নতুন করে সাজাতে হবে।”
নষ্ট হয়ে যাওয়া নথির নকল কোথায় পাওয়া যাবে-এ প্রশ্নে নুরুল হুদা বলেন, “কেস কোন পর্যায়ে আছে, এটা সেটার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। মামলাগুলোর কপি থানার পাশাপাশি সার্কেল অফিসে থাকে, ফার্স্ট রিপোর্ট হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও পাঠানো হয়। ডায়েরির রিপোর্টগুলোও সার্কেল অফিসে কপি থাকে। এগুলো ইনভেস্টিগেশন করে সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব।”
নকল জোগাড়ের ঝক্কি ব্যাপক
ঢাকার একটি থানা থেকে সম্প্রতি রাজশাহী রেঞ্জে বদলি হওয়া একজন এসআই বলেন, “বদলির আগে সব অফিসারেরই দায়িত্বে থাকা মামলাগুলো অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হয়। পুড়ে যাওয়া মামলার কাগজপত্রের ক্ষেত্রে আমাদেরকে আদালতে গিয়ে খোঁজ করতে হয়েছে। মামলার কপিগুলো আদালতে সংরক্ষিত থাকে। সেখান থেকে মামলার কপিটা সংগ্রহ করেছি।”
এই নথিপত্র জোগাড়ে ঝামেলা কী- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “মামলার কাগজ অনুযায়ী ফটোকপির খরচ, যাওয়া-আসার খরচ তো রয়েছেই, এর বাইরে দেখা গেছে একসঙ্গে অনেক কর্মকর্তা মামলার খোঁজে আদালতে গেছেন, সেক্ষেত্রে নথি উদ্ধার করতে সিরিয়াল ধরে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। টাকা খরচের পাশাপাশি বাড়তি সময়-পরিশ্রম হয়েছে।”
খিলগাঁও থানার বর্তমান ওসি মো. দাউদ হোসেন বলেন, “একটি নথি উদ্ধার করতে আমাদের সময়-শ্রম এবং অর্থ সবকিছুই খরচ হচ্ছে স্বাভাবিক। ধরুন একটি মামলার নথি পুড়ে গেছে, রেজিস্ট্রারও পুড়ে গেছে। এখন সেটির পিআর (আসামির বিস্তারিত পরিচয়) খুঁজতে আমাকে আদালতে যেতে হচ্ছে। তারপর সে অনুযায়ী মামলার নথি খুঁজে বের করতে হচ্ছে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মামলার এজাহারসহ কিছু নথি ক্রিমিনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস) সংরক্ষিত থাকে। আদালতেও মামলার কপি ও সাক্ষ্য, জবানবন্দি সংরক্ষিত থাকে যেখান থেকে সেগুলো উদ্ধার সম্ভব।
তবে অনেক মামলার আলামতের বিবরণ, জব্দ তালিকা, বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণের তথ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে থানায় থাকে। কোনো মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার সময়ে বা সাক্ষী হাজিরের সময়ে তা প্রয়োজন পড়ে। যেসব মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি এমন মামলা তদন্ত শেষ করতে বেগ পেতে হবে।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্যাডো কপি আদালতে চলে যায়, জিআর সেকশন থেকে সেগুলো পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কেইস ডকেটের সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন আলামত থাকে, সেগুলো নিয়ে বিপদ আছে।”
আরেক ঝামেলা কর্মকর্তার বদলি
খিলগাঁওয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় গত ১৮ মে ঢাকার একটি মামলা করেন জাফর আহমেদ। আসামি করেন পলাতক কর্মচারী আরমান মোল্লা ও আবির মোল্লাকে।
মামলাটির তদন্তে কোনো অগ্রগতি না থাকার তথ্য তুলে ধরে জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকবার থানা পুলিশের পরামর্শে আমি আসামিদের বাড়িতেও গেছি, তারাও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। উপায় না পেয়ে আমি ডিবিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এর ঠিক আগে আগেই এই ঝামেলা শুরু হয়ে গেল।
“এরপর থেকে মামলার তদন্তের আর কোনো খবর নেই। এর মধ্যে দায়িত্বরত এসআই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল চার্জশিট দিয়ে দেওয়ার কথা। শুনেছি তিনি অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাবেন। এরপর আর কোনোকিছুই আমি জানি না। ভাবছি এর মধ্যে একবার ওসির কাছে যাব, দেখি কী হয়?”
বাদী ‘না জানলেও’ মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার দাবি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম মিয়ার, যাকে খিলগাঁও থানা থেকে পাঠানো হয়েছে সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনে।
এই কর্মকর্তা বলেন, “অনেকবার অভিযান চালিয়ে আসামিকে ধরতে পারিনি। পরে বাদীকে বলেছি, আমি তো চলে যাব চার্জশিট দিয়ে যাই। চার্জশিট দিলে আদালত থেকেই সমন জারি করা হবে, এটা বাদীর জন্যই ভালো। তাই আমার তদন্ত অনুযায়ী দুইজনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে দিয়েছি।”
যেসব নথি পুড়িয়ে দিয়েছিল সেগুলোর অনেকগুলো সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল, আবার মেডিকেল থেকেও রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সবকিছু মিলিয়ে আমরা সকল মামলার তথ্যই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি।”
তবে নথি পেলেও আলামত সব পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আলামত কিছু কখনই পাওয়া যাবে না, আর বিষয়টি তো আদালতও অবগত। এ নিয়ে একটু সময় লাগলেও তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না।”
খিলগাঁও থানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানার এসআই মোহাম্মদ গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ যে মামলা করেন, তাতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাত হাজার জনের বিরুদ্ধে। তাতে অন্য ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ৩৪২টি আলামত খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্থাৎ এসব আলামত খোয়া যাওয়ায় কম বেশি তিনশ মামলার তদন্ত ও বিচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এজাহার অনুযায়ী, লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৯৬টি। প্রায় ১১ হাজার গুলিরও খোঁজ নেই।
ওসি মো. দাউদ হোসেন বলেন, “খোয়া যাওয়া নথিগুলো আমরা আদালত বা বিভিন্ন জায়গা থেকে রিকভার করছি। যেসব রেজিস্ট্রার খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে সেগুলো আমরা নতুন করে শুরু করেছি। তবে আলামতগুলো তো আর উদ্ধার সম্ভব নয়।”
তবে এসব কারণে মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
আন্দোলনের আগের সময় এবং বর্তমানে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সংখ্যায় পার্থক্য কেমন- এ বিষয়ে জিজ্ঞাসায় ওসি বলেন, “এটার নির্ধারিত সংখ্যা বলা সম্ভব না। কারণ, আগে যে পরিমাণ মামলা হত সেই অনুযায়ী কার্যক্রম চলত। এখনও মামলা অনুযায়ী সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। মামলা হচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে তদন্ত শেষ হলে আমরা চার্জশিটও দিচ্ছি।”
আলামতের বিষয় তাহলে কী হবে
এ প্রশ্নের জবাব পুলিশের কাছে নেই।
খিলগাঁও থানা থেকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি হওয়া এক উপ-পরিদর্শক বলেন, “আমার মামলাগুলোর নথি উদ্ধার করে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। তবে মোটরসাইকেলসহ অনেক আলামত থানাতেই ছিল, যা হয়ত পুড়ে গেছে নয়ত লুট হয়েছে। সেগুলোর কী হবে আমরা জানি না।”
ওসি দাউদ বলেন, “পুড়ে যাওয়া আলামতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। আর আসলে আমরা বিষয়টি আদালতকে অবগত করেছি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার নথি-আলামত ধ্বংসসহ হামলা-লুটপাটের ঘটনায় আমরা প্রতি থানায় একটি করে মামলা করছি। বাকিগুলো চলমান আছে। মামলার নথির বিকল্প ব্যবস্থা থাকে, এটা নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না। তবে মামলার যেসব আলামত যেমন-গাড়ি থাকে, মোটরসাইকেল থাকে এসব ধ্বংস হয়ে গেছে। সেসব তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না। বিষয়টি আমরা আদালতকে অবগত করেছি।”
মামলার নথি-আলামত খোয়া যাওয়ার সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হচ্ছে, এক্ষেত্রে সেসব মামলার তদন্তে বাধাগ্রস্ত হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছুটা সমস্যা হবে, তবে কীভাবে কী করা যায় আমরা দেখছি। সব মিলিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, আইনগতভাবে যা যা করা দরকার আমরা করছি।”
সংস্কার: পুলিশ জনবান্ধব হবে কোন তালিসমানে
গাড়ি নেই, অস্ত্র লুট, পুলিশ এখন কী করবে?
পুলিশের বাইরে আলাদা তদন্ত সংস্থা কতটা বাস্তব সম্মত?
পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে প্রতিকার কী?