বড় ধরনের গোলযোগ ছাড়াই অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা মনে করছেন।
Published : 26 Jun 2014, 05:06 PM
কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চলছে: আকরাম
ফল যাই হোক মেনে নেব: সেলিম ওসমান
ওসমান না আকরাম- রায় বৃহস্পতিবার
সেলিম ওসমানের সঙ্গে আইভীঘনিষ্ঠ ৩ প্রার্থী
না. গঞ্জে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান
সাত খুনের দুই মাসের মধ্যে কঠোর নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই আসনের ১৪১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয়েছে গণনা।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। তবে বিকালের দিকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন।
তারা আভাস দিয়েছেন, সাম্প্রতিক অন্য সব উপনির্বাচনের মতো নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেও গড়ে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মালিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (১১৭ নম্বর কেন্দ্র) অনিয়মের অভিযোগে ভোট স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
“শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এখন ভোটের পরবর্তী ভায়োলেন্স যাতে না হয় সে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।”
ভোটে অনিয়মের কারণে একটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
ভোটের সময় প্রার্থীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে তিন-চারটি অভিযোগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
দলের নেতা নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে শূন্য এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াতের ভাই নাসিম ওসমান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আকরাম এক সময় এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, “সকালের তুলনায় দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতিও বেড়েছে। ভোট পড়ার হার বরাবরের মতোই হবে বলে মনে করছি।”
গাজীপুর উপনির্বাচনেও ৩৮-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, বেলা ৩টার পরে অনেক কেন্দ্রে ৩৫-৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গণবিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এ এস এম মেছবাহ উদ্দিন জানান, বেলা ২টার হিসাবে ২৬শ’ ভোটারের মধ্যে সাড়ে সাতশ’ ভোট পড়েছিল।
বিকাল ৩টায় তিনি বলেন, “এখন অনেক ভোটার আসছে। বেলা শেষে হাজার ভোট পড়তে পারে। ৪০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়তে পারে।”
গণবিদ্যা নিকেতনের এক নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তার কেন্দ্রে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বিকাল ৩টা পর্যরন্ত।
এ কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ৩ হাজার ১শ’ একজন।
সকালে উপস্থিতি কম থাকলেও বিকালে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে বলে জানান নারায়ণঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের কর্মকর্তা শামসুল হক।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৬। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ১৬৩১টি।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, “সকালে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর সংখ্যা বাড়তে থাকে।”
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৩ নম্বর কেন্দ্রের (মদনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বেলা ৩টার পর জানান, এ কেন্দ্রের ২ হাজার ৪৭৮ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
“আমি ১৫টি ব্যালট বই ইস্যু করেছি। এর মধ্যে ৯টি পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকিগুলোও চলছে। এ হিসাবে ভোটার উপস্থিতি মোট ভোটারের অর্ধেকের মতো হবে।”
ষাটোর্ধ্ব মালতি ঘোষ বলেন, “অনেকবার ভোট দিয়েছি। এইবার হয়রানি করছে বেশি। আর ভোটই দেব না। ৎ
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার পর ভোটারদের মধ্যে মানসিক ভীতিও থাকায় ভোট নিয়ে অনেকের তেমন আগ্রহ নেই বলে জানান কয়েকজন।
অনেক প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি বাড়লেও নারী উপস্থিতি ছিল কম