এসব ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার রয়েছে।
Published : 16 Jan 2025, 07:50 PM
‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার পরিবারের সদস্য ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এসব ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংস্থার উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের ৮টি, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১৪টি, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাছান মাহমুদ ও স্ত্রীর যৌথ হিসাব ৩টি হিসাব রয়েছে।
এছাড়া হাছান মাহমুদ পরিবারের বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস এর ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৩টি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের অনুসন্ধানের বরাতে সংস্থার কর্মকর্তা কমলেশ মণ্ডল আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী-কন্যা ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা ‘সন্দেহজনক’। হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এসব লেনদেন হয়েছে, যাতে অর্থ পাচারের সম্ভবনা অনেক বেশি।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
সে মাসেই হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা হাছান এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব ছিলেন। এর আগে ২০০৯ সালে মাস ছয়েক তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা জানা গেলেও তার অবস্থান কোথায় সেটি অজানা।
আরও পড়ুন: