মামলাটি করেছেন প্রথম আলোর সাবেক রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি, যাতে আসামি করা হয়েছে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানকেও।
Published : 09 Sep 2024, 01:25 AM
এক দশক আগের ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন এক সাংবাদিক।
রোববার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকেও। মামলাটি করেছেন প্রথম আলোর সাবেক রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ইব্রাহীম খলিল।
বিচারক তার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের বিশেষ ইউনিট পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী জমির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অন্তত ছয়টি ‘নির্যাতনের’ ঘটনার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
অন্য আসামিরা হলেন- হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদ, রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন ইউএনও তানভীর আজম ছিদ্দিকী, এলজিইডির প্রকৌশলী হাসান আলী, তৎকালীন উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া থানার তৎকালীন ওসি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, প্রথম আলোর ওই সময়ের বার্তা সম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহসি।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, ইব্রাহীম খলিল ২০০০ সাল থেকে রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম আলো পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। পরে আসামিরা ২০০৯ সাল থেকে তাকে সাংবাদিকতা থেকে দূরে সরাতে দমন-পীড়ন, আর্থিক প্রলোভন, হামলা, মামলা, এমনকি একাধিকবার প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষাপট তুলে এজাহারে বলা হয়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সরকারি পাহাড়ে কবরস্থান কেটে প্রবাসীর বসতঘরের জন্য পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। এ নিয়ে সংবাদ করতে গেলে তৎকালীন বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইব্রাহীম খলিলকে মারধর করে। এ নিয়ে মামলা করতে গেলে রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
এছাড়া ২০১১ সালের ২৯ মে বাদীর ওপর চন্দ্রঘোনা এলাকায় হামলা হয়। তাকে মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য এলাকায় কাজ করার সময় তার ওপর হামলারও অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
বাদী ইব্রাহিম খলিলের অভিযোগ, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ইন্ধনে প্রথম আলো থেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেকারণে পত্রিকার সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদককেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রথম আলোর লাজ্জাত এনাব মহসি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বক্তব্য জানা যায়নি।