তার নেতৃত্বে মেহেদী গ্রুপ নামের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পরিচালিত হয়, বলছে পুলিশ।
Published : 18 Apr 2025, 12:32 AM
চট্টগ্রাম নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, অস্ত্রটি ডবলমুরিং থানা থেকে লুট হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসান (২৭) পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তার নেতৃত্বে মেহেদী গ্রুপ নামের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পরিচালিত হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেহেদীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র ও গুলিগুলো ডবলমুরিং থানা থেকে লুট হয়েছিল।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর নগরীর কয়েকটি থানায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।
মেহেদীকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুঁইয়া বলেন, “মেহেদীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ আছে। তারা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করেছে ইতিপূর্বে। গত কিছুদিনে তার একাউন্টে প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
“এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দু্ই পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছিল এই গ্রুপটি।”
সিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকার মো. নুরুল হুদার বাসা থেকে ১ এপ্রিল ৪০ ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে সাত লাখ টাকা চুরি, ২৭ মার্চ আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ওয়ান ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও মালামাল চুরি এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি আগ্রাবাদের বাংলা কেট নামের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ টাকা ও মালামাল চুরি করে এই গ্রুপটি।
বারিক বিল্ডিং এলাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকাত ধরতে অভিযানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন পুলিশের দুই এসআই আহলাত ইবনে জামিল ও নজরুল ইসলাম।
ডবলমুরিং থানার ওসি রফিক বলেন, “এই গ্রুপের সদস্যরাই সেদিন পুলিশকে ছুরিকাঘাত করেছিল। মেহেদীর বিরুদ্ধে আমরা এখন পর্যন্ত অস্ত্র, পুলিশের উপর হামলা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ ১৩টি মামলার সন্ধান পেয়েছি।
“নগরীর ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মেহেদীর নেতৃত্বে এই গ্রুপটি নানা রকম অপরাধ করে। তার বিরুদ্ধে ৫০টির মত মামলা আছে। সব মামলার তথ্য হাতে এলে সঠিক সংখ্যাটি বলতে পারব।”
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে নগরীর মেহেদীবাগ থেকে পুলিশ এই গ্রুপের রিয়াদ হোসেন প্রকাশ বাষ্ণু, ওমর ফারুক তুষার, আকাশ মিয়া হৃদয় ও তৌহিদুল ইসলাম সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছিল।