এ মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দেয়।
Published : 15 Jan 2024, 02:19 PM
সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় করা হত্যা মামলা আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
সেই সঙ্গে ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন ওই সময় পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মুনমুন নাহার।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজারের বেশি শ্রমিকের প্রাণ যায়। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও ১ হাজারের বেশি মানুষ।
ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে ওই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
ওই ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে হত্যা মামলা করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে একটি মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে।
হত্যা মামলায় গত ৬ এপ্রিল হাই কোর্ট সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আবেদন করলে গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
১০ জুলাই আবার শুনানি শেষে রানার জামিন আবেদন মুলতবি রাখা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার বিষয়টি আবার আদালতে ওঠে এবং আপিল বিভাগ মামলা নিষ্পত্তির জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়।
মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা মিনহাজ উম মুনীরা তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আগামী ২১ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যের তারিখ রেখেছেন তিনি।
এ মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ৫৯৪। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রানা প্লাজা ধস: হত্যা মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য
রানা প্লাজা ধস: মামলা বিচারে গতি
রানা প্লাজা ধস: ৩০ শিশুকে বড় করছে গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’
রানা প্লাজা ধস: ‘মৃত্যুর যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি’