১৭ বছর আগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল দুদক।
Published : 29 Aug 2024, 03:42 PM
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ।
এসময় আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হন। এসময় তার সহধর্মিনী মির্জা আফরোজা আব্বাস ছিলেন। দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন।
পরে আব্বাসের উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দেন। রায় শুনে বিএনপি নেতা আব্বাস কেঁদে ফেলেন।
আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ অগাস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সেখানে আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
সাফাই সাক্ষ্যে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কৃষি পেশাজীবী থেকে তার আগের প্রজন্ম ব্যবসায়ী পরিবার হয়ে ওঠে। মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাজার থেকে রাজারবাগের কাছে ফ্লাইওভার পর্যন্ত তার এবং পরিবারের জায়গা।
‘ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছেন’ দাবি মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, তাকে বাঁকা পথে সম্পদ অর্জন করতে হয়নি। তার চাচা শহীদের নামে শহীদবাগের নামকরণ করা হয়। ঢাকার বিখ্যাত মাজেদ সরদার তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তার চাচা বিডি মেম্বার ও পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনীতিতে তার চাচার হাত ধরেই প্রবেশ।
আব্বাসের ভাষ্য, তার নানার কাছ থেকে তার বাবা এবং তিনি ঢাকার খিলগাঁও রেলগেট থেকে রাজারবাগ পর্যন্ত পুরো এলাকার জমির মালিকানা পান। শাজাহানপুর থেকে রাজারবাগ মোড় পর্যন্ত যে রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেটি তাদের মালিকানার জায়গায়।
গত বছরের ২২ অগাস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৯ অগাস্ট দিন ঠিক করে আদালত। এরপর কয়েক দফা পেছানোর পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হলো।