নতুন রাষ্ট্রপতির জন্য প্রস্তুত বঙ্গভবন

এই শপথ অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত হয়। স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। পরে নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন করবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। চেয়ার বদলের মধ্য দিয়ে হবে ক্ষমতা হস্তান্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2023, 07:30 PM
Updated : 23 April 2023, 07:30 PM

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদে নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান হবে। তাকে শপথ পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে স্বাক্ষর করবেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শপথ অনুষ্ঠান ১১টায় দরবার হলে হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।”

এই শপথের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি হিসেবে টানা দুই বারের মেয়াদ শেষ হবে আবদুল হামিদের। তিনিই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দিন দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রপ্রধান।  

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ২১ মেয়াদে এই পদে কয়েকজন একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসাবে সাহাবুদ্দিন সপ্তদশ ব্যক্তি, যিনি দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

তার দায়িত্ব গ্রহণের শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগের।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, “এই শপথ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

“শপথ বাক্য পাঠের পরে সিটিং প্রেসিডেন্ট নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন করবেন। এরপর চেয়ার বদলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।”

রাষ্ট্রপতির শপথ

“আমি,…, সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি আইন-অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি-পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান করিব; এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহীত আচরণ করিব।”

মঞ্চে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, স্পিকার ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বসবেন। স্পিকার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শপথ দেওয়ার পরে সিটিং প্রেসিডেন্ট নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানাবেন। এরপর সিটিং প্রেসিডেন্ট যে চেয়ারে বসা ছিলেন ওই চেয়ারে নতুন রাষ্ট্রপতিকে বসাবেন এবং যে চেয়ারে তিনি বসা ছিলেন, সেই চেয়ারে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বসবেন। এভাবে চেয়ার বদলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।

প্রেস সচিব জানান, শপথ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবন থেকে গুলশানের বাসায় যাবেন। সন্ধ্যার পরে তিনি বঙ্গভবনে উঠবেন।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শপথ অনুষ্ঠানের পর ঢাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় তার বাসভবন প্রেসিডেন্ট প্যালেসে উঠবেন। ২০০০ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে তিন কাঠার এই জমি বরাদ্দ পান তিনি। সেখানে কয়েক বছর পর তোলেন বাড়ি।

ছাত্রাবস্থায় রাজনীতির মাঠে নামা আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ ১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে সাতবার জাতীয় সংসদে কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। পালন করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব।

আবদুল হামিদ প্রথম দফায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয়বারের মত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রোববার তার মেয়াদ শেষ হল।

তার স্থলাভিষিক্ত হতে চলা মো. সাহাবুদ্দিনের রয়েছে আইন পেশা, বিচারালয় ও দুদকে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। কাগুজে নাম মো. সাহাবুদ্দিন হলেও ডাকনাম চুপ্পু হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত।

ছয় দফা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে রাজপথে নামা সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর)। ছোটবেলা কেটেছে ওই শহরেই।

পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন চতুর্থ শ্রেণিতে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে।

এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি পান।

কলেজ জীবনে প্রবেশের আগেই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনায় তার সাক্ষাতের কথা এক লেখায় তুলে ধরেছিলেন সাহাবুদ্দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত পাতায় প্রকাশিত সেই লেখায় ওই দিনের ঘটনা বর্ণনায় তিনি লিখেছিলেন, “ছয় দফার প্রচারণা চালাতে (টাউন হলে জনসভার মাধ্যমে) এদিন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বগা মিয়ার বাসায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেখানেই প্রথম দেখা। ভাতিজা সুবাদে বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মী আমাদের প্রিয় চাচা জনাব এম মনসুর আলী, এম এইচ কামারুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বগা চাচা।

“সেই পরিচয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বভাবসুলভ আদরের 'তুই' সম্বোধন। সবশেষ বলেছিলেন- 'মাঠে (সভাস্থল) আয়।' সদ্য এসএসসি পাস করেছি, পরিচয়ে তখনও কলেজের তকমা পাইনি। রাজনীতির কতটুকুই বা বুঝি? কিন্তু ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি র্দীঘদেহী এই মানুষটির স্নেহমাখা 'মাঠে আয়' স্বরে কী যে লুকিয়ে ছিল! তা আজও ভুলতে পারি না।”

ছাত্রলীগের যুক্ত হওয়ার পর এডওয়ার্ড কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন।

১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে থাকা সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে আসেন।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সে সময় ক্ষমতাদখলকারীরা। সাহাবুদ্দিনকেও তখন কারাবরণ করতে হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।

পেশাজীবনের শুরুর দিকে পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন সাহাবুদ্দিন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) পরীক্ষা দিয়ে তিনি বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।

বিচারালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান মো. সাহাবুদ্দিন। এরমধ্যে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তখনকার বিচারক সাহাবুদ্দিন। বিচারক জীবনের ইতি টানার পর আবারও তিনি আইন পেশায় ফেরেন।

২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকার মধ্যে সরকার তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। সে সময়ের ‘হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের’ মতো ঘটনায় পরবর্তীতে ক্ষমতায় গিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওই কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সাংবাদিকতা পেশাতেও যুক্ত ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বিচার বিভাগে যোগ দেওয়ার আগে ১৯৮০ থেকে দুই বছর দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করেন তিনি। পাবনা প্রেস ক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরিতেও তিনি সদস্য ছিলেন।

রাজনীতি, বঙ্গবন্ধু এবং নীতি নির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে তিনি নিয়মিত কলামও লিখতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।

মো. সাহাবুদ্দিন জেএমসি বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। এ ব্যাংকের অডিট কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে সাহাবুদ্দিন এক ছেলের বাবা। তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা যুগ্ম সচিব ছিলেন। তিনি বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজারের পাশাপাশি ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করার কথা রয়েছে।

পুরনো খবর

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাহাবুদ্দিনকে জাতিসংঘের অভিনন্দন

সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ 

মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত 

বঙ্গবন্ধুর ডাকে রাজপথে নামা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যাচ্ছেন বঙ্গভবনে 

সবই আল্লাহর ইচ্ছা: মো. সাহাবুদ্দিন 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন, তিনিই হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ উঠবেন নিকুঞ্জের বাসায়