হোম
+
“সরকার যে কোনোভাবে আমাদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে চায়।”
Published : 07 Jan 2023, 10:06 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পদত্যাগকারী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তারকে সরকার ‘চাপ দিয়ে’ উপ-নির্বাচনে এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুমিন ফারহানা।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “আব্দুস সাত্তার ভূঞার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারের একটি চাপ আছে তার ওপর। সরকার যে কোনোভাবে আমাদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে চায়। সরকার সেটা সফলভাবে করেছে। তাকে চাপ দিয়ে এই নির্বাচনে আনা হয়েছে বলে আমার জানা।”
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর উকিল আবদুস সাত্তার, রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে। ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নিজের ছেড়ে দেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন উকিল আব্দুস সাত্তার। তার আগে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদসহ বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। যদিও এরপরই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুমিন ফারহানার নিজেও নির্বাচনী এলাকা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নও চেয়েছিলেন।
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভায় অংশ নিতে এসে রুমিন ফারহানা বলেন, “বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার যদি দায়িত্ব পায়, বিএনপি কী ধরনের রাষ্ট্র দেখতে চায় তা ২৭ দফার মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমরা ১০ দফা দিয়েছি, সেই ১০ দফায় আমাদের সম্প্রতি যে কর্মসূচি তা বলেছি। আর ২৭ দফার শুরুতেই বলেছি সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে পর পর দুইবার কেউ রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। এমন যুগান্তকারী ঘোষণা বিএনপি দিতে পারে।”
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করবে উল্লেখ করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যে ঘটনাটি হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আওয়ামী লীগের উপজেলার সাধারণ সম্পাদক, তিনি বারের সভাপতি। তিনি গিয়ে অকথ্য ভাষায় একজন বিচারককে গালাগাল করেছেন, তা কোনো অবস্থাতেই চলতে পারে না।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে তাদের দলীয় বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা তারা এমনভাবে তৈরি করেছে, বলা হচ্ছে সেই ধারাগুলো ভবিষ্যতে পরিবর্তন করা যাবে না।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সায়েদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, রফিক শিকদার, সালাউদ্দিন শিশির।
আরও পড়ুন:
মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উকিল আব্দুস সাত্তার
পদত্যাগী উকিল আব্দুস সাত্তারকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিএনপির
