হোম
+
রোববার তার পক্ষে এক আত্মীয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
Published : 01 Jan 2023, 08:16 PM
বিএনপির সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর দলেরও দায়িত্ব ছাড়া বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে উপ-নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর সরাইল-আশুগঞ্জ আসনে উপ-নির্বাচনের অংশগ্রহণের গুঞ্জনের মধ্যে রোববার তার পক্ষে এক আত্মীয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “বিকালে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে সাদ মোহাম্মদ রশিদ সাড়ে আট হাজার টাকার চালান জমা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে উকিল আব্দুস সাত্তারের মোবাইল ফোনে কল করলে তার ছেলে মাইনুল হাসান তা রিসিভ করেন।
তিনি বলেন, “বাবার পক্ষে একজন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে শুনেছি। তবে বাবা নির্বাচন করবেন কি-না এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা পরিবারের লোকজন বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তারসহ বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে। ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তার আগে শনিবার দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদসহ বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
উকিল আব্দুস সাত্তার কুমিল্লা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-১ (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর উকিল আবদুস সাত্তার পঞ্চম (১৯৯১), ষষ্ঠ (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি), সপ্তম (১৯৯৬ সালের ১২ জুন) এবং ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে নির্বাচিত হন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ ২৮ বছর।
২০০১ সালে উকিল আবদুস সাত্তার টেকনোক্র্যাট কোটায় খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির সেই মেয়াদের বিভিন্ন সময় তিনি চারটি মন্ত্রণালয়ে (আইন, ভূমি, মৎস্য এবং বিদ্যুৎ) দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:
