ধর্ষণের অভিযোগে ফাহিমের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে রাঙামাটির কাউখালি থানায় মামলা করেন মারমা তরুণী।
Published : 19 Apr 2025, 07:48 PM
রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার বিকালে য়ংড বৌদ্ধ বিহার এলাকা থেকে ‘খাগড়াছড়ি সচেতন ছাত্রসমাজ’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
তবে পানখাইয়া পাড়া সড়কের মোড়ে এসে মিছিলটি পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় সড়কে খালি পিকআপ আড়াআড়ি করে রাখতে দেখা যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “নিরাপত্তার শঙ্কায় আমরা পানখাইয়া মোড়ে মিছিলটি আটকে দিয়েছি। তারা সেখানেই সমাবেশ করেছে।”
ধর্ষণের অভিযোগে মো. ফাহিমের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে রাঙামাটির কাউখালি থানায় মামলা করেন মারমা তরুণী।
এজাহারে বলা হয়েছে, ফাহিম ২৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ১৭ এপ্রিল বাধা দিলে ফাহিম তাকে মারধর করে। পরে তিনি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
এর প্রতিবাদেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্ররা। পরে পুলিশি বাধার মুখে সমাবেশ করে ‘খাগড়াছড়ি সচেতন ছাত্রসমাজ’।
এ সময় কবিতা চাকমা বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা কারণে বাধা দিয়েছে। কেন আমাদের মিছিল সমাবেশ করতে দেবেন না? আমাদের মিছিলে বাধা দিয়ে আপনারা কি ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন? নারী হিসেবে আমার অধিকার মা ও বোনদের বিচার চাওয়া।”
শিক্ষার্থী চম্পা মারমা বলেন, “মারমা তরুণীকে যে ধর্ষণ করেছে আমরা তার বিচার চাইছি। আপনারা ধর্ষককে গ্রেপ্তার না করে আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে বাধা দিচ্ছেন। আমরা এদেশের নাগরিক কিন্তু আমরা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। আমরা ধর্ষক ফাহিমের কঠিন শাস্তি চাই।”
মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল খাগাড়ছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা বলেন, “আমাদেরকে রাঙামাটিতেও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে দেয়নি। খাগড়াছড়িতে একই অবস্থা। এর আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটেছে একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। বিচার বহির্ভূত সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি। পাহাড় ও সমতলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পার্বত্য তিন জেলায় পর পর একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিচার হয়নি।”
কাউখালিতে তরুণি ধর্ষণের মামলার আসামি ফাহিমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান বক্তারা।