বিএনপি ছাড়লেন উকিল আবদুস সাত্তার

রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2022, 02:39 PM
Updated : 31 Dec 2022, 02:39 PM

দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার বিএনপিই ছাড়লেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক উকিল আবদুস সাত্তার।

দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদসহ বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

সাত্তার শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যসহ সকল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত রেজিগনেশন লেটার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত কারণ।”

শুধু কি পদ ছেড়েছেন- জানতে চাইলে প্রবীণ এ রাজনীতিক বলেন, “দলেও নেই। দলের সকল পদ এবং সদস্যপদসহ সব কিছু থেকে পদত্যাগ করেছি।”

দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তারসহ বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে। ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পদত্যাগের কারণ ‘ব্যক্তিগত’ বললেও ৮৪ বছর বয়সী উকিল আবদুস সাত্তারের কণ্ঠে ক্ষোভ ও হতাশা শোনা গেল।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি করেছি। দলের যে কোনো সময়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানছি। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত সংসদ থেকে পদত্যাগ- এটাও মাইনা পদত্যাগ করেছি পার্লামেন্ট থেকে।

 “এখন বুঝতে পারছি যে, দলে আমাদের প্রয়োজন নেই; দলের কর্মকাণ্ডে তা বুঝতে পারছি। বৃদ্ধ হয়ে গেছি… মান সম্মান থাকতে থাকতে দল থেকে চলে আসছি।”

২০০১ সালে উকিল আবদুস সাত্তার টেকনোক্র্যাট কোটায় খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির সেই মেয়াদের বিভিন্ন সময় তিনি চারটি মন্ত্রণালয়ে (আইন, ভূমি, মৎস্য এবং বিদ্যুৎ) দায়িত্ব পালন করেন।

উকিল আব্দুস সাত্তার কুমিল্লা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-১ (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর উকিল আবদুস সাত্তার পঞ্চম (১৯৯১), ষষ্ঠ (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি), সপ্তম (১৯৯৬ সালের ১২ জুন) এবং ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে নির্বাচিত হন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ ২৮ বছর।