ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর নিহত হওয়ার পর থেকে এদের মৃতদেহ গাজায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
Published : 25 Jul 2024, 10:14 PM
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নিহত পাঁচ জিম্মির মৃতদেহ বুধবার গাজা থেকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নিহত হওয়ার পর থেকে এদের মৃতদেহ গাজায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওতে বলা হয়েছে, ৫৬ বছর বয়সী কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক মায়া গোরেন ওই হামলার সময় নির ওজে তার নিজের কিব্বুতজে নিহত হয়েছিলেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যে এলাকাগুলোতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলো চালানো হয় এই কিব্বুতজ তার একটি। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল, নয় মাস ধরে চলা নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আর ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্য যে চার জিম্মির মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের দুইজন ইসরায়েলি বাহিনীর রিজার্ভ সেনা ও অপর দুইজন নিয়োগকৃত সেনা ছিলেন। তারা ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণকারী যোদ্ধাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিহত হন বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
তারা আরও জানায়, এই পাঁচজনের মৃতদেহ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় নতুন করে অভিযান শুরু করেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গাজায় এখনও যে ১২০ জন জিম্মি আছেন সেই তালিকায় এই পাঁচজনেরও নাম ছিল। এই জিম্মিদের এক তৃতীয়াংশকে ফরেনসিক তথ্যপ্রমাণ, গোয়েন্দা তথ্য, ধৃত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের জিজ্ঞাসাবাদ, জিম্মিদের প্রকাশিত ভিডিও ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার সরকার বাকি জিম্মিদের উদ্ধারে নিবিড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ প্রচেষ্টা সফল হবে বলে বিশ্বাস তার।
বুধবার এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবে।
হামাস চায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে; কিন্তু নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না।