হামাস যোদ্ধাদের ছোট ছোট ইউনিটগুলো অনবরত মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর আঘাত হানছে।
Published : 27 Jul 2024, 04:01 PM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার খান ইউনিস অঞ্চলের দক্ষিণাংশের এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিদের সাময়িকভাবে সরে আল মাওয়াসি মানবিক এলাকায় যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা সরে গেলে সেখানে ‘জোরালো অভিযান’ চালাতে পারবে তারা।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপর থেকে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামাসের যোদ্ধাদের নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে অবিরাম হামলা চালিয়ে গেলেও তা যে সহজ হচ্ছে না তা বিভিন্ন লক্ষণে স্পষ্ট হচ্ছে। হামাসের যোদ্ধারা অব্যাহতভাবে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস যোদ্ধাদের ছোট ছোট ইউনিটগুলো অনবরত মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর আঘাত হানছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এসব ইউনিটগুলোকে দমন করতে তাদের সেনারা খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং টানেল ও অন্য অবকাঠামো ধ্বংস করেছে।
ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধের শুরুতে হামাস ও তাদের মিত্র ইসলামিক জিহাদের ২৫ হাজারেরও বেশি যোদ্ধা ছিল, এদের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ইতোমধ্যে নিহত অথবা বন্দি হিসেবে আটক হয়েছে।
দেশটির সামরিক বাহিনী শনিবার জানায়, বেসামরিক নাগরিকদের বিপদ কমাতে তাদের খান ইউনিসের কিছু নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে তারা আর এ নির্দেশ বিভিন্ন মাধ্যমে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল সামঞ্জস্যহীন শক্তি ব্যবহার করছে। ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: