কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠাল ভারত

কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন তারা নিয়ে গবেষণা করতে নতুন বছরের প্রথমদিনে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (আইএসআরও)

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2024, 06:57 AM
Updated : 1 Jan 2024, 06:57 AM

মহাবিশ্বের রহস্যগুলোর অন্যতম কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ভারত।

নতুন বছরের প্রথমদিন সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এক্সপোস্যাট বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (আইএসআরও) ।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে আইএসআরও এক্সপোস্যাটের সাফল্যজনক উৎক্ষেপণের কথা ঘোষণা করে জানায়, পোলার স্যাটেলাই লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) কৃত্রিম উপগ্রহটিকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের নির্দিষ্ট কক্ষপথে নিখুঁতভাবে স্থাপন করেছে। 

এটি একটি ‘টেক্সটবুক উৎক্ষেপণ’ হয়েছে বলে আইএসআরও-র জ্যোতিঃপদার্থবিদ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।

এটি ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার কৃত্রিম উপগ্রহ বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। বিশ্বে এ ধরনের এটি দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ আর এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট মহাশূন্যে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

এক্সপোস্যাট মিশন ছিল পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের (পিএসএলভি) ৬০তম ফ্লাইট। এর ২৬০ টনি রকেটটি একটি অত্যাধুনিক ‘মানমন্দির’ মহাশূন্যে নিয়ে স্থাপন করে। এই ‘মানমন্দিরটি’ কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন তারার সন্ধান ও সেগুলো পর্যবেক্ষণ করবে। 

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মহাশূন্যে ‘মানমন্দির’ স্থাপন করলো ভারত। 

এক্স-রের ফোটন ও সেগুলোর পোলারাইজেশন ব্যবহার করে এক্সপোস্যাট নিকটবর্তী কৃষ্ণগহ্বর ও নিউটন তারার বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করবে।

যখন তারাগুলোর জ্বালানি শেষ হয়ে যায় আর ‍সেগুলোর ‘মৃত্যু’ হয়, তখন নিজস্ব অভিকর্ষের চাপে সেগুলো চুপসে যায় আর কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল) অথবা নিউট্রন তারায় পরিণত হয়। মহাবিশ্বে কৃষ্ণগহ্বরগুলোর মহাকর্ষীয় বল সর্বোচ্চ আর নিউট্রন তারাগুলোর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এগুলোর বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে মিশনটি মহাকাশের অতি-চরম পরিবেশের রহস্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করবে। 

এই এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইটটির জন্য ভারতের খরচ করতে হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি রুপি। এটি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।