ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনরায় চালুর প্রচেষ্টায় দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
Published : 17 Apr 2025, 09:10 PM
ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে একটি চীনা ‘টিপট’ তেল পরিশোধনাগারও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এর মাধ্যমে তেহরানের উপর চাপ বাড়ানোর নীতি নিয়েছে। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, এই পদক্ষেপ চীনা আমদানিকারকদের উপর চাপ বাড়াবে।
ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনরায় চালুর প্রচেষ্টায় দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতেই নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের।
পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেওয়া হল যখন ট্রাম্প প্রশাসন এ মাসেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নতুন আলোচনা শুরু করেছে। গত সপ্তাহে ওমানে এক দফা আলোচনা হয়েছে। আগামী শনিবার রোমে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার চীন-ভিত্তিক স্বাধীন টিপট তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত তেল কেনায় এই চীনা শোধনাগারের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করেছে মন্ত্রণালয়।
এটি এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দ্বিতীয় চীনা স্বাধীন তেল পরিশোধনাগার। চীনের এসব টিপট তেল শোধনাগার অতীতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি। কারণ তাদের যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ছিল না।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় ইরানি তেল কেনা বন্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও কয়েকটি কোম্পানি ও জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এগুলো চীনে ইরানি তেল পরিবহনে সহায়তা করার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “যে কোনও তেল শোধনাগার, কোম্পানি বা দালাল যারা ইরানের তেল কিনবে বা তাদের তেল বাণিজ্যে সহায়তা করবে, তারা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।”
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ চীনের তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে চীনা সংস্থা ও ব্যক্তিদের ওপর অযৌক্তিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। চীন নিজেদের আইনসম্মত অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”