বাগদাদে মার্কিন হামলায় কাতাইব হিজবুল্লাহর কমান্ডার নিহত

বাগদাদে চালানো এ হামলায় বেসামরিক কেউ হতাহত হয়েছে, এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে বিবৃতিতে করেছে মার্কিন বাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2024, 08:06 AM
Updated : 8 Feb 2024, 08:06 AM

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হয়েছে।

বুধবার হামলাটি চালানো হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জন্য পেন্টাগন এই গোষ্ঠীটিকে দায়ী করেছিল।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের উপর হামলার জবাবে (মার্কিন) বাহিনী ইরাকে একতরফা একটি হামলা চালিয়ে কাতাইব হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য (এই কমান্ডার) সরাসরি দায়ী ছিল।”

বাগদাদে চালানো এ হামলায় বেসামরিক কেউ হতাহত হয়েছে, এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই কমান্ডারের নাম আবু বাকির আল-সাআদি, বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে এক কর্মকর্তা জানান, এ হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। যে গাড়িটিকে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে সেটি ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) ব্যবহার করতো।

পিএমএফ ইরাকের একটি নিরাপত্তা সংস্থা। পিএমএফ গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক ডজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে, এদের অনেকের সঙ্গেই ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।

কাতাইব হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও কমান্ডাররা পিএমএফেরই অংশ। জানুয়ারিতে জর্ডানের সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এক ড্রোন হামলায় তিনি মার্কিন সেনা নিহত হয়। ওই হামলা কাতাইব হিজবুল্লাহর ‘ছাপ’ বহন করছে বলে পেন্টাগন অভিযোগ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর গোষ্ঠীটি ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।

অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক ও সিরিয়া দেশদু’টিতে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী ও ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায় দৈনিক ভিত্তিতে হওয়া পাল্টাপাল্টি হামলার সাক্ষী হয়েছে।

গত শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দেশটি জানায়, এর মাধ্যমে তিন মার্কিন সেনা হত্যার প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু হল মাত্র।

এর আগে জানুয়ারিতে বাগদাদের কেন্দ্রস্থলে যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় ইরাকের আরেক জ্যেষ্ঠ মিলিশিয়া কমান্ডার নিহত হয়েছিল। মার্কিন বাহিনীর ওপর ড্রোন ও রকেট হামলা চালানোর প্রতিশোধ হিসেবে এই কমান্ডারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি পেন্টাগনের।

ইরাকের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার বাগদাদে ইরাকের বিশেষ বাহিনীগুলো উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল অন্যান্য নিরাপত্তা ইউনিটগুলোকে বাগদাদের গ্রিন জোনে মোতায়েন করা হয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসসহ বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলো পাহারা দিয়েছে।

আরও খবর:

Also Read: ইরাক ও সিরিয়ায় ‘ইরান সমর্থিত’ ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

Also Read: সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৪০