প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "আমাদের জবাব আজ থেকে শুরু হল।”
Published : 03 Feb 2024, 09:00 AM
ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড সমর্থিত ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার এই অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের জবাব আজ থেকে শুরু হল। আমাদের পছন্দমত সময়ে এবং জায়গায় এটা চলতে থাকবে।"
গত রোববার টাওয়ার টোয়েন্টি টু নামে পরিচিত ওই মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হন, আহত হন আরো অন্তত ৪১ জন।
ওই হামলার জন্য ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সমর্থিক একটি মিলিশিয়া গ্রুপকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ইরান বলে আসছে, টাওয়ার টোয়েন্টি টুতে হামলা পরিকল্পনায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোরের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্স এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপের সাতটি জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
এর মধ্য চারটি জায়গা সিরিয়ায়, তিনটি ইরাকে। এসব স্থাপনায় সব মিলিয়ে ৮৫টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার; রকেট, মিসাইল ও ড্রোন স্টোরেজ ইউনিট এবং গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ কেন্দ্র রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দূর পাল্লার বি১ বোমারু বিমান এই হামলায় অংশ নেয়, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়িয়ে নেওয়া হয় সেগুলো। ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে সবগুলো স্থাপনায় একযোগে এ হামলা ‘সফল’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন জেনারেল ডগলাস সিমস।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের এটা জেনে রাখতে হবে, যদি একজন আমেরিকানেরও ক্ষতি করা হয়, আমরা তার জবাব দেব।”
এদিকে এই হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিরিয়া ও ইরাক।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদমাধ্যম বলেছে, তাদের দেশের মরুভূমি অঞ্চলে এবং সিরিয়া-ইরাকি সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ‘আমেরিকান আগ্রাসনে’ বহু লোক হতাহত হয়েছে।
আর ইরাকের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া রসুল বলেছেন, তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার মাধ্যমে তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা পুরো অঞ্চলের অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।