“পরিবেশ আন্দোলনে কোনো প্রতিযোগী নেই। এখানে সবাই সহযোগী।”
Published : 19 Apr 2025, 04:53 PM
দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক বিভাজন’ রয়েছে, যা এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
তবে পরিবেশ আন্দোলনকে এই ‘রাজনৈতিক বিভাজনের’ উর্ধ্বে বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ এই মন্তব্য করেন।
‘উন্নয়নের স্বার্থে পরিচ্ছন্ন সবুজ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচির সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।
ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “আমাদের দেশে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। এই বিভাজন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
“তবে পরিবেশ আন্দোলন রাজনৈতিক বিভাজনের উর্ধ্বে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই এই আন্দোলনটিকে ধারণ করেন। পরিবেশকে রক্ষায় এটি একটি বড় সুযোগ। সবাই একসঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করলে এক্ষেত্রে আমরা দ্রুত সফল হতে পারবো।”
নিয়াজ আহমেদ মনে করেন, “পরিবেশ আন্দোলনে কোনো প্রতিযোগী নেই। এখানে সবাই সহযোগী।”
তিনি বলেন, “আজকের এই আয়োজনটিতে সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, জাতিসংঘ, নরওয়ে দূতাবাস সবাই অংশগ্রহণ করেছে। আমরা এই পার্টনারশিপকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। আশা করছি আমাদের মধ্যে যে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে সেটি অক্ষুণ্ন থাকবে।”
অনেক বেশি কাজ করছেন, রাজনৈতিক বাকোয়াজ করছেন না দাবি করে উপাচার্য বলেন, “অনেক রক্তের ওপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সে কথা স্মরণ রাখতে হবে।
“আমরা কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ু দূষণ রোধে পাতা পোড়ানো বন্ধ করার জন্য অফিসিয়ালি নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
“একই সঙ্গে আমরা ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত’ ক্যাম্পাস করতে চাই। আমি এখনই এর ঘোষণা দেব না। আগে কাজ এগিয়ে নেব তারপর ঘোষণা দেব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে আতশবাজির ব্যবহারও প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে তুলে ধরেন নিয়াজ আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান, ঢাকা নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ।