ইরান সফলভাবে ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর বিষয়ে দেশটির বিরুদ্ধে ‘পদক্ষেপ’ গ্রহণের সম্ভাবনার কথা তোলার দুই দিন পর তেহরান এ পরীক্ষা চালাল।
মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী আছে ইরানের। দেশটি জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল ও ওই অঞ্চলে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপী দেশগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও তেহরান জানিয়েছে, তারা তাদের ‘আত্মরক্ষামূলক’ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর আরও উন্নয়ন ঘটাবে।
এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেছেন, “ইরানের শত্রুদের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, আমরা আমাদের দেশ ও এর অর্জনগুলো রক্ষা করবো। আমাদের বন্ধুদের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় আমরা সাহায্য করতে চাই।”
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ফুটেজ সম্প্রচার করে সেটি খোরামশহর ৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার (১২৪৩ মাইল) এবং তা ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম খেইবার। ইসলামের উন্মেষকালে এই নামের একটি ইহুদি দুর্গ জয় করেছিল মুসলিমরা।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইরানকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল।
ইরান বলেছে, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও অন্য সম্ভাব্য আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিশোধমূলক শক্তি।