ইতালি’র ডেটা সুরক্ষা বিষয়ক কর্তৃপক্ষের উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নজর দিতে শুরু করেছে চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআই। এর ফলে, দেশটিতে পুনরায় চালু হয়েছে জনপ্রিয় এই চ্যাটবট।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওপেনএআই ও ইতালির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘গারান্তে’।
আরও পড়ুন
গত মাসে ইতালিতে মাইক্রোসফট সমর্থিত সফটওয়্যার কোম্পানিটি নিজেদের চ্যাটবট সেবা অফলাইনে নিয়ে যায়। এর আগে চ্যাটজিপিটিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় প্রাইভেসি নীতিমালা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে দেশটির ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
দেশটিতে পুনরায় চ্যাটবটের কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিতে ও নিজেদের বিভিন্ন উদ্বেগ সমাধানের জন্য ওপেনএআই’কে রোববার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল গারান্তে।
গত মাসে গারান্তে বলেছে, এমন কোনো আইনি ভিত্তি নেই যেটি এই চ্যাটবটকে ‘প্রশিক্ষণের’ জন্য ‘ব্যক্তিগত ডেটার বিশাল সংগ্রহ ব্যবহার ও সঞ্চয়ে ন্যায্যতা দেয়।
ওপেনএআই’র বিরুদ্ধে ১৩ বা এর বেশি বয়সী হিসেবে বিবেচিত চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাইকরণে ব্যর্থতার অভিযোগও তুলেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ওপেনএআই বলেছে, ইতালিতে ব্যবহারকারীর বয়স যাচাইয়ের জন্য তারা নতুন এক সুবিধা চালু করবে।
শুক্রবার কোম্পানিটি বলেছে, নিজেদের প্রাইভেসি নীতিমালা ও ব্যবহারকারীর কনটেন্ট ‘অপ্ট-আউট ফর্মে’ তারা আরও স্বচ্ছতা আনবে।
কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীদের জন্য কোম্পানিটি নতুন এক ব্যবস্থা চালু করবে, যার মাধ্যমে তারা চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণে ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহারে আপত্তি জানাতে পারবেন।
এই ব্যবস্থার অধীনে নিজের ব্যক্তিগত ডেটা চ্যাটজিপিটির সঙ্গে শেয়ারে আগ্রহী না হলে একটি গুগল ফর্ম পূরণ করে দিতে হয়।
গারান্তে বলেছে, জনগণের অধিকারের সঙ্গে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সমন্বিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তারা আশা করে যে কোম্পানিটি ইউরোপীয় ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা মেনে চলার এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
প্রথম পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশ হিসেবে চ্যাটজিপিটি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইতালি। তবে, এর দ্রুত বিকাশ বিভিন্ন দেশের আইন প্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বৃহস্পতিবার নতুন এক নীতিমালা চালু করার বিষয়ে রাজী হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতাদের এক কমিটি, যা চ্যাটজিপিটি’র মতো জেনারেটিভ এআই ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলোকে নিজেদের সিস্টেম বিকাশে ব্যবহৃত কপিরাইটযুক্ত উপাদান প্রকাশে বাধ্য করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
চ্যাটজিপিটি নিয়ে গারান্তে’র আগ্রহের পর এই মাসের শুরুতে চ্যাটবটটির জন্য একটি ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছে ইউরোপের জাতীয় প্রাইভেসি নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়কারী সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান ডেটা প্রোটেকশন বোর্ড’।
গারান্তে বলেছে, চ্যাটজিপিটি’ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সঙ্গেও কাজ করবে তারা।