তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পরবর্তীতে কী করবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে গেইমিং খাত।
Published : 25 Jan 2024, 04:49 PM
গেইমিংয়ে খরচ কমানো ও অতিরিক্ত আসক্তি ঠেকাতে নতুন খসড়া নিয়ম তৈরি করেছিল চীনা নিয়ন্ত্রকরা। সেসব কঠোর নিয়ম থেকে সম্ভবত সরে দাঁড়াচ্ছে দেশটি।
চীনের প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ ‘ন্যাশনাল প্রেস অ্যান্ড পাব্লিকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনস’ (এনপিপিএ)-এর ওয়েবসাইটে গেল মঙ্গলবার খসড়া নিয়মগুলো আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
অনলাইন গেইমিংয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার চীন, কিন্তু নিয়ন্ত্রকদের ঘন ঘন লড়াই চলে এ খাতের সঙ্গে।
নতুন নিয়মগুলো ইন-গেইম খরচে লাগাম টানছিল। প্রতিদিন গেইমে প্রবেশের জন্য গেইমারদের পুরষ্কৃত করাও ছিল নিষিদ্ধ। পাশাপাশি, ‘অযৌক্তিক’ আচরণ সম্পর্কিত একটি পপ-আপ সতর্কতাও খেলোয়াড়দের দেখাতে বলার প্রস্তাবও ছিল।
চীন এভাবে ইউ টার্ন নেওয়ার পর দেশটির গেইমিং কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম আবার ফুলে ফেঁপে উঠেছে। যার মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গেইমিং জায়ান্ট টেনসেন্ট হোল্ডিংস এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নেটইজ রয়েছে বলে উঠেছে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত খসড়া প্রকাশের পর থেকেই উভয় কোম্পানির শেয়ার দর পড়তির দিতে ছিল। যৌথভাবে প্রায় ৮ হাজার ডলার মূল্য কমেছিল কোম্পানি দুটির।
তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পরবর্তীতে কী করবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে গেইমিং খাত।
‘আমি মনে করি এ ধরনের অনুভূতি সম্ভবত বেশ কিছু সময়ের জন্য থাকবে, যদি না আমরা সরকারি বক্তব্যে খুব কঠোর পরিবর্তন বা কিছু সহায়ক নীতি পাই।’ – বলেছেন আর্থিক পরিষেবা কোম্পানি মর্নিংস্টারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইভান সু।
‘আমরা জানি না এটি এক সপ্তাহে, কয়েক মাসে বা কয়েক বছরের মধ্যে ঘটবে কিনা।’
গেইমারদের ওপর চীনের সবচেয়ে বড় চাপটি এসেছিল ২০২১ সালে, যখন শিশুদের নির্দিষ্ট দিনে এক ঘন্টার বেশি গেইম খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে বছরেই, গেইম আসক্তির কথা উল্লেখ করে প্রায় ৮ মাস ধরে নতুন গেইম অনুমোদন স্থগিত করেছিল দেশটি।
এর ফলে, ‘অনেক চীনা গেইম নির্মাতা তাদের গেইম উন্নয়নের পাইপলাইন নিয়ে বিদেশী গেইমগুলোর দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন’ – আরও বলেন সু।
এরইমধ্যে, ফ্রান্স, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি অধিগ্রহণ বা বিনিয়োগ করেছে নেটইজ ও টেনসেন্ট।
বর্তমান অনিশ্চয়তা বিদেশী গেইমের নির্মাণের আগ্রহ আরও বাড়াবে কিনা সেটি দেখার বিষয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।