বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির খেতাব ফিরে পেয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। এর মাধ্যমে ফরাসী বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বের্নার্ড আর্নোকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিলেন তিনি।
বুধবার প্যারিসের পুঁজিবাজারে ফরাসী এই ব্র্যান্ডের শেয়ারদর দুই দশমিক ছয় শতাংশ কমে যাওয়ার পর সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটারের মালিক মাস্ককে শীর্ষ স্থান ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যান আর্নো।
লুয়ি ভিতোঁ, টিফানি, সেলিন ও ট্যাগ হয়ারের মতো বিশ্বের শীর্ষ বিলাসবহুল ব্রান্ডগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কোম্পানিটির মালিক আর্নো।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের ধনকুবের তালিকার হিসাব অনুসারে, এখন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান মাস্কের সর্বমোট সম্পত্তির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার দুইশ কোটি ডলারে। ওই তুলনায় আর্নোর সম্পত্তির মূল্য ১৮ হাজার সাতশ কোটি ডলার।
সম্প্রতি শীর্ষ ধনীর অবস্থান নিয়ে এই দুই ধনকুবের বেশ কিছুদিন ধরেই খুব কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন।
মার্চের শুরুতে অল্প সময়ের জন্য মাস্ক এই শীর্ষ ধনীর খেতাব ফিরে পেলেও টেসলার শেয়ারদর পাঁচ শতাংশ কমে যাওয়ার পর নিজের অবস্থান হারিয়ে ফেলেন তিনি। সে সময় মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ দুইশ কোটি ডলার কমে আসায় পুনরায় এই খেতাব ফিরে পান আর্নো।
তবে, এপ্রিলে এলভিএমএইচ-এর শেয়ার ১০ শতাংশ কমে আসার পর এক সময় দিনে আর্নোর সম্পদ থেকে প্রায় এক হাজার একশ কোটি ডলার হারিয়ে যায়।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির অবস্থান পেয়েছিলেন মাস্ক। তবে, ‘নিজের অনিচ্ছায়’ চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনার চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর সেই শীর্ষ অবস্থান হারান তিনি।
মাস্কের বেশিরভাগ সম্পত্তিই টেসলার শেয়ারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির শেয়ারমুল্য কেবল দুই বছরে এক হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থান অর্জন করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এই বছর টেসলার শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির পর এই ধনকুবেরের সম্পত্তি বেড়েছে পাঁচ হাজার পাঁচশ কোটি ডলারের বেশি।
এই বছর এলভিএমএইচ-এর শেয়ারমুল্য বেড়েছে ২০ শতাংশ। ওই তুলনায় টেসলার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৬৫ শতাংশের বেশি।