‘টুইটার কিলার’ অ্যাপটির রেকর্ড জনপ্রিয়তা, এর চেহারা টুইটারের অনুরূপ হওয়া, আর সবশেষে থ্রেডস বাজারে আসার পরপরই টুইটারের জনপ্রিয়তায় ভাটার মতো কারণ তো আছেই।
Published : 12 Jul 2023, 05:08 PM
শুরুটা ছোট্ট এক টুইট দিয়ে। মাত্র চার শব্দ হলেও স্পষ্ট ও লক্ষ্যভেদী। তিনি টুইট করলেন, ‘জাক ইজ এ কাক’ - যার অর্থ দাঁড়ায়, জাকারবার্গ একজন দুর্বল মানুষ।
রোববারের ওই টুইটের পর আরও টুইট পোস্ট করেছেন তিনি যেগুলোর লক্ষ্য মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। এক পর্যায়ে সোমবার একটি রুলার ইমোজি পোস্ট করে জাকারবার্গকে পুরুষাঙ্গ মেপে দেখার প্রস্তাব দেন তিনি।
Zuck is a cuck
— Elon Musk (@elonmusk) July 9, 2023
সোমবার, এই বিষয়ে এক টুইটার ব্যবহারকারীর পোস্টের জবাবও দেন মাস্ক। ওই ব্যবহারকারী টুইট করে বলেন, মাস্ক এমন প্রতিযোগিতায় হেরে যেতে পারেন।
“এটা অনুপোযোগী ও মর্যাদারহানিকর হবে। তারপরও, হোক না!” --টুইটের জবাবে লেখেন মাস্ক।
এতো খেপলেন কেন তিনি? সম্ভবত এর সহজ উত্তর থ্রেডস। ‘টুইটার কিলার’ অ্যাপটির রেকর্ডভাঙা জনপ্রিয়তা, অ্যাপটির চেহারা টুইটারের অনুরূপ হওয়া, আর সবশেষে থ্রেডস বাজারে আসার পরপরই টুইটারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পরার মতো গুরুতর কারণ তো আছেই। অন্তত তেমনই বলছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এর আগে অ্যাপগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়াকে কারণ দেখিয়ে মেটার বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দিয়েছেন মাস্ক। তার মতে, এগুলো ‘মিথ্যা উপায়ে আনন্দ’ দেয় ও এর বুস্ট করা পোস্টগুলো থেকে বোঝা যায় থ্রেডসের উন্মোচন আসলে টুইটারকেই সাহায্য করেছে।
মাস্ক আরও বলেন, টুইটার একইসঙ্গে সেন্সরশিপমুক্ত ও এতে জোর করে খুশি থাকার মতো চাপ নেই।
You are free to be your true self here
— Elon Musk (@elonmusk) July 11, 2023
“আপনি এখানে নিজের সত্যিকারের রূপ নির্দ্বিধায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।” --এই বিষয়ে সাম্প্রতিক এক পোস্টে লেখেন মাস্ক।
টুইটারের সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনোর পোস্টও শেয়ার করেন মাস্ক। এতে লিন্ডার দাবি, থ্রেডসের সাফল্য আসলে টুইটারের অগ্রগতির জন্য সহায়ক।
“আপনাদের কোনো হুমকির (থ্রেড) মধ্যে আটকে রাখতে চাই না…তবে টুইটার, তুমি আসলেই আগের চেয়ে ভালো করেছ।” --লেখেন তিনি।
“ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ ব্যবহার দেখা গেছে গত সপ্তাহে। টুইটার একটাই। এটা আপনারাও জানেন। আমিও জানি।”
থ্রেডস উন্মোচনের পর এটি কী পরিমাণ বুস্ট হয়েছে বা টুইটার ব্যবহারে এর প্রভাব পড়েছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন অনুমান থেকে ইঙ্গিত মিলেছে মাস্ক মালিকানাধীন সামাজিক সাইটটির ব্যবহার ‘কমছে’।
জাকারবার্গের দাবি, উন্মোচনের কেবল পাঁচ দিনেই ১০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছে মেটার থ্রেডস অ্যাপটি। এর ফলে, চ্যাটজিপিটিকে টপকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপও হয়ে উঠেছে এটি।
গত বুধবার উন্মোচনের পর থেকেই অ্যাপে নতুন ব্যবহারকারী যোগ দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন রেকর্ড তৈরি করে চলেছে থ্রেডস। আর জেনিফার লোপেজ থেকে শুরু করে কিম কার্দাশিয়ানদের মতো তারকাদেরও এতে যোগ দিতে দেখা গেছে। এর পর থেকেই ইলন মাস্কের সামাজিক সাইটের জন্য প্রথম বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে অ্যাপটিকে।