ভিআর পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম কার্যকর পরীক্ষা ছিল ইঁদুরকে চালাকির মাধ্যমে বিশ্বাস করানো যে, একটি কালো দাগ তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
Published : 30 Dec 2024, 02:44 PM
ইঁদুরের জন্য ছোট আকারের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বা ভিআর হেডসেট তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে প্রাণীরা কীভাবে আচরণ করে বা সাড়া দেয় সে সম্পর্কে আরও ভালভাবে গবেষণা করা যাবে বলে দাবি তাদের।
কম খরচে বিশেষ করে সাশ্রয়ী উপাদান যেমন– স্মার্টওয়াচ ডিসপ্লে ও ছোট আকারের লেন্স ব্যবহার করে ‘মাউসগগলস’ নামের এ ভিআর হেডসেটটি বানিয়েছেন ‘কর্নেল ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা।
এরপর বিভিন্ন উদ্দীপনায় ইঁদুর কীভাবে সাড়া দেয় তা দেখার জন্য এদের সামনে এসব হেডসেট রাখেন তারা।
মস্তিষ্ক কীভাবে ন্যাভিগেশন ও স্মৃতির সঙ্গে সমন্বয় কাজ করে তা উন্মোচনে সহায়তা করতে পারে এসব ছোট আকারের ভিআর হেডসেট, যা অ্যালঝেইমারের মতো বিভিন্ন রোগ ও এর চিকিৎসা পদ্ধতি বুঝতে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের।
ভিআর পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম কার্যকর পরীক্ষা ছিল ইঁদুরকে চালাকির মাধ্যমে বিশ্বাস করানো যে, একটি কালো দাগ তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
“বড় পর্দার সাধারণ ভিআর সেটআপে যখন আমরা এ ধরনের পরীক্ষা চালানোর চেষ্টা করেছি ওই সময় ইঁদুরগুলো এতে মোটেও সাড়া দেয়নি,” বলেছেন এ গবেষণার প্রধান লেখক ম্যাথিউ আইজ্যাকসন।
“কিন্তু প্রথমবারের মতো ইঁদুরগুলো যখন এই ভিআর হেডসেট দিয়ে দেখে তখন এরা লাফ দেয়। হেডসেটটির মাধ্যমে এদের কাছ থেকে অসম্ভবরকম সাড়া পাওয়া গেছে। ইঁদুরগুলো সত্যিই ভেবেছিল যে, এরা কোনও শিকারীর কবলে পড়েছে।”
ভার্চুয়াল রিয়ালিটির পরিবেশে ইঁদুর কীভাবে চলাচল করে তা নিয়ে গবেষণার জন্য প্রায় এক দশক আগে থেকে ব্যয়বহুল বিভিন্ন প্রজেক্টর স্ক্রিন ডিজাইন শুরু করে ‘কর্নেল ইউনিভার্সিটি’র গবেষণা দলটি। কিন্তু ওই সময় এ প্রক্রিয়াটি জটিল ও অকার্যকর ছিল।
এর বদলে ভিআর হেডসেট তৈরির জন্য কাজ করেন আইজ্যাকসন, যা আরও সহজ ও কার্যকর হবে। এ হেডসেট বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান এরইমধ্যে বাজারে সস্তায় কিনতে পাওয়া যায়।
আইজ্যাকসন বলেছেন, “অন্য কোনো কাজের জন্য তৈরি যন্ত্রাংশ থেকে নেওয়া ও তারপর নতুন কোনো কাজে তা প্রয়োগ করার এই হ্যাকার নীতি থেকে আমরা উপকার পেয়েছি।”
“ইঁদুরের জন্য এই নিখুঁত আকারের ভিআর হেডসেটের ডিসপ্লেটি এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে স্মার্টওয়াচের জন্যও।”
“কপাল ভাল যে আমাদের নতুন করে কোনো কিছু তৈরি বা ডিজাইন করার দরকার পড়েনি। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সাশ্রয়ী বিভিন্ন উপাদান সহজেই নানা উৎস থেকে আমরা খুঁজে পেতে পারি।”