এআইয়ের কারণে কার্বন নির্গমন বাড়ছে। আর নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
Published : 10 Nov 2024, 03:25 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাগুলো পরিশ্রম কমিয়ে দিলেও এটি পরিবেশবান্ধব নয়। বরং এআইয়ের কারণে কার্বন নির্গমন বাড়ছে। আর নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
জটিল ও বাড়তি ক্ষমতা রয়েছে এমনসব এআই মডেলের প্রশিক্ষণ ও চালানোর জন্য একদিকে অনেক বেশি শক্তি প্রয়োজন, অন্যদিকে এগুলো ব্যবহারে রয়েছে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। আর এটিই গুরুতর পরিবেশগত পরিণতি বয়ে আনছে বলে সতর্ক করেছে নতুন এক গবেষণা পত্র।
এআই সিস্টেমগুলো আরও ভাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কম্পিউটিং ক্ষমতা দরকার হয়, এবং চালানোর জন্যও প্রয়োজন ব্যাপক শক্তির। উদাহরণ হিসেবে, ওপেনএআইয়ের বর্তমান জিপিটি-৪ আগের মডেলগুলোর তুলনায় ১২ গুণ বেশি শক্তি ব্যবহার করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
আরও ভয়ের বিষয় হল, এসব মডেলের প্রশিক্ষণ আসলে কাজের খুব ছোট একটি অংশ। আদতে এআই টুলগুলো চালানোর জন্য যে শক্তি দরকার হয়, তা একটি একক প্রশিক্ষণের তুলনায় ৯৬০ গুণ বলে অনুমান করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব বিশাল হতে পারে। এআই-সংশ্লিষ্ট কার্বন নির্গমনের ফলে এ খাতে বছরে এক হাজার কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
এ ছাড়া, এ ধরনের নির্গমন পরিমাপের উপায়গুলো মানসম্মত করার পাশাপাশি একটি সীমার মধ্যে রাখার জন্য সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের কাছে নতুন নিয়ম তৈরির আহ্ববান জানিয়েছেন তারা।
“এআই-এর ক্ষমতা বাড়ার বিষয়টি এর পরিবেশগত প্রভাবে উদ্বেগজনক বৃদ্ধির প্রতিফলন।” – বলেছেন ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক মেং ঝাং।
“এআই খাতের জন্য পরিবেশবান্ধব চর্চা ও টেকসই মান গ্রহণ করার জরুরী প্রয়োজনের ওপরেই জোর দেয় এ গবেষণা। আমাদের লক্ষ্য হল, এআই-এর কার্বন ফুটপ্রিন্ট মোকাবেলায় সক্রিয় প্রবিধান তৈরির জন্য নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রয়োজনীয় ডেটা পৌঁছে দেওয়া।”
‘রিভিজিট দ্য এনভারমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অফ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স: দ্য ওভারলুকড কার্বন এমিশন সোর্স?’ শীর্ষক গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে ‘ফ্রন্টিয়ার্স অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের জার্নালে।