এখন পর্যন্ত মঙ্গলপৃষ্ঠে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে রোভারটি। এখন এটি আছে ‘গেদিস ভ্যালিস’ নামের এক অঞ্চলে।
Published : 02 Oct 2024, 03:51 PM
লাল গ্রহে ঘুরে বেড়ানোর সময় ‘নির্যাতনের’ শিকার হয়েছে নাসার মার্স রোভার।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘কিউরিওসিটি’ নামের রোভারটি ২০১২ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান চালিয়ে আসছে ও গ্রহটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাচ্ছে। রোভারটিকে নামানো হয়েছিল মঙ্গলের ‘গ্যাল ক্রেটার’ গর্তের কাছাকাছি পাথুরে পৃষ্ঠের আশপাশে।
সম্প্রতি ‘কিউরিওসিটি’ রোভারের বিধ্বস্ত চাকার ছবি এক ব্লগ পোস্টে শেয়ার করেছেন নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র মিশন অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাশলে স্ট্রপ।
“মঙ্গলে থেকে অনেক নির্যাতন সহ্য করার পরও বর্তমানে ভালভাবে কাজ করে চলেছে রোভারটি।”
রোভারের চাকার দুটি ছবি প্রকাশ করেছে নাসা, যেটি নেওয়া হয়েছে এর রোবোটিক বাহুর শেষ প্রান্তে থাকা ‘হ্যান্ড লেন্স ইমেজার’ ক্যামেরার মাধ্যমে। কিউরিওসিটি’র আছে ছয়টি চাকা ও ছবি দুটি তোলা হয়েছে রোভারের ডান পাশের মাঝখানে থাকা চাকা থেকে।
“এসব ছবি নাসার পর্যায়ক্রমিক যাচাইয়ের অংশ, যেখানে দেখা মিলেছে মঙ্গলের রুক্ষ ভূখণ্ডে কীভাবে আছে রোভারের বিভিন্ন চাকা।”
কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মতো মঙ্গলের চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর একটি ছবি তোলে কিউরিওসিটি রোভার।
এখন পর্যন্ত মঙ্গলপৃষ্ঠে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে রোভারটি। এখন এটি আছে ‘গেদিস ভ্যালিস’ নামের এক অঞ্চলে।
নাসার এ মিশনের উদ্দেশ্য– ‘অতীতে মঙ্গল বাসযোগ্য ছিল কি না তা খুঁজে বের করা’, যার মাধ্যমে বর্তমানে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
গত সপ্তাহের শেষে মঙ্গলের ‘শিপ ক্রিক’ অঞ্চলের সাদা পাথরের ‘অত্যন্ত প্রত্যাশিত পরীক্ষা’ সম্পন্ন করেছে রোভারটি। পাশাপাশি গ্রহটির ক্লাউড ক্যানিয়ন, মুনলাইট লেক এবং অ্যাঙ্গোরা পর্বতও অনুসন্ধান করেছে এটি।
এসব শিলার মধ্যে সালফার রয়েছে কিনা তা আবিষ্কারের চেষ্টা করে চলেছে রোভার পরিচালনাকারী দলটি। অনেকটা এ বছরের শুরুতে দুর্ঘটনাক্রমে মঙ্গলে আবিষ্কৃত আরেকটি সালফিউরিক শিলার স্তূপের মতো।
মানবজাতির পরিকল্পনায় মঙ্গল গ্রহ বড় ভূমিকা রাখে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
এদিকে স্পেসএক্স-এর প্রধান ও প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক বলেছেন, আগামী দুই দশকের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে একটি স্বনির্ভর মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। পাশাপাশি আগামী দুই বছরের মধ্যে গ্রহটিতে পাঁচটি স্টারশিপ মহাকাশযান পাঠানোর চেষ্টা করবেন মাস্ক।
এসব উৎক্ষেপণ ঠিকঠাক এগিয়ে গেলে ২০২৮ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে মাস্কের।