মেহেরপুরের গাংনীতে মানসিকভাবে অসুস্থ এক ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা কালিতলা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক।
নিহত ৬০ বছরের আফেল উদ্দীন হাড়াভাঙ্গা কালিতলা পাড়ায় ইয়াদ আলীর ছেলে। তার ছেলে সুজন আলী ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আফেল উদ্দীনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন জানান, সকালে ছেলে সুজন ও তার বাবাকে বাড়িতে রেখে তিনি বাড়ির পাশে একটি দোকানে ডিম কিনতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে তিনি স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় সুজনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
কাজীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, সুজন আলী গাংনী ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় বেশ কিছু দিন ধরে রাজশাহী, পাবনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
“ধারণা করা হচ্ছে শনিবার সুজন তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এর আগেও সুজন আলী তার বাবাকে মারধর করেছে বলে প্রতিবেশিরা জানিয়েছে। ”
ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ছেলে সুজন আলী পলাতক রয়েছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।