মেঘনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় লড়াইয়ের আভাস পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা।
Published : 23 Apr 2024, 07:01 PM
প্রথম ধাপের নির্বাচনে কুমিল্লার মেঘনা ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির দুই নেতা।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির এ দুই নেতা নির্বাচনে আসায় উপজেলা ভোটে লড়াইয়ের আভাস দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।
মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রমিজ উদ্দিন।
আর নাঙ্গলকোটে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপু।
মঙ্গলবার বিএনপির ওই দুই নেতাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ এবং একজন বিএনপির সঙ্গে যুক্ত।
চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ছুপু কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আবদুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী। মাজহারুল উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী হলেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ ভূঁইয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির।
বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে দলে আমার কোনো পদ নেই। আমি জনগণের চাপে নির্বাচন করছি। ইনশাআল্লাহ, মানুষ আমাকে ভোট দেবে।”
এদিকে মেঘনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে মো. রমিজ উদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। বাকি প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুলাহ মিয়া রতন শিকদার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম তাজ।
নির্বাচনে আসা নিয়ে বিএনপি নেতা রমিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “মেঘনা উপজেলায় বিএনপির ভোট বেশি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী চারজন। ফলে আমার জয়ের সম্ভাবনা আছে।
“এ কারণে নেতা-কর্মী ও জনগণের চাপে আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।”
প্রথম ধাপে ৮ মে মেঘনা ও নাঙ্গলকোট ছাড়াও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও লাকসামে ভোট হবে।