গোলাপের আগের হলফনামা অনুযায়ী, এখন তার একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ রয়েছে; যার বাজারমূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা। এমপি হওয়ার আগে তার কোনো গাড়ি ছিলো না।
Published : 09 Dec 2023, 11:27 AM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের নগদ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে পাঁচ বছরের ব্যবধানে। কিনেছেন কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি; সঙ্গে বেড়েছে স্ত্রীর অর্থ।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গোলাপ মাদারীপুর-৩ (সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। এবারও নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।
এই নির্বাচনী এলাকা থেকে ২০১৮ সালে প্রথম বার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাপ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গোলাপ যে হলফনামা দাখিল করেছেন, তাতে পেশা রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা ও রাজনীতি উল্লেখ ছিল।
পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের হলফনামায় গোলাপ নগদ টাকার ঘরে নিজের নামে ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা এবং স্ত্রীর গুলশান আরার নামে ১ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন।
এবার ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৪ টাকা দেখিয়েছেন। তবে গোলাপের স্ত্রীর টাকা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ টাকা।
২০১৮ সালে গোলাপের নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা জমা দেখিয়েছেন।
বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা দেখিয়েছেন। সে অনুযায়ী গোলাপের নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ গুণ।
২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, স্ত্রীর কাছে ৯৮ হাজার ১১৮ ইউএস ডলার ছিল। কিন্তু চলতি বছরে তার কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই।
গোলাপের আগের হলফনামা অনুযায়ী, এখন তার একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ রয়েছে; যার বাজারমূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা। এমপি হওয়ার আগে তার কোনো গাড়ি ছিলো না।
২০১৮ সালে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার ছিল।
২০২৩ সালে গোলাপের শেয়ার রয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৯২ টাকার। স্ত্রীর নামে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার দেখিয়েছেন।
এছাড়াও ঢাকার মিরপুর এবং উত্তরায় তার দুটি ভবন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আচরণবিধি ভঙ্গ কোথায় করলাম? প্রশ্ন গোলাপের
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে গোলাপের মনোনয়নপত্র দাখিল
এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ভোটারদের কাছে করা প্রতিশ্রুতিসমূহ যেমন- রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল, মাদ্রাসা নির্মাণ এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার উন্নয়নসহ বাকিগুলোর শতভাগ অর্জিত করেছেন বলেও হলফনামায় লিখেছেন।
হলফনামার বিষয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপের মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।