সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক বলেন, “আমরা মাদারীপুর থেকে বাস ভাড়া করে লোক নিয়ে এসেছি গোলাপ ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিতে।”
Published : 30 Nov 2023, 07:58 PM
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপ শত শত নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল মিলিয়ে প্রায় দুইশ গাড়ির বহর নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন এমন অভিযোগ করে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতস্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। আমি তো ইচ্ছা করলে গোলাপ সাহেবের চেয়ে আরও কয়েকগুন বেশি নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি।”
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে আব্দুস সোবাহান গোলাপের মন্তব্য জানতে সাংবাদিকরা তার রমজানপুর ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের বাড়িতে যান। তখন গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। এবারও তিনি নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশাল এক গাড়িবহরে সমর্থকদের নিয়ে গোলাপ মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এতে ব্যান্ড পার্টিও ছিল। এ সময় উপজেলার প্রধান সড়কে দুই ঘণ্টার বেশি সময় যানজট সৃষ্টি হয়। মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে প্রার্থীসহ পাঁচজনের প্রবেশের নিয়ম থাকলেও সমর্থকরা ঝাঁক বেঁধে সেখানে ঢুকে পড়েন। এ সময় সমর্থকেরা তার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বার বার মানা করা সত্ত্বেও কেউ তা আমলে নেয়নি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদারীপুর-৩ আসনের (কালকিনি ও সদর উপজেলার একাংশ) নির্বাচনি এলাকার ২০টি ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসেছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক বলেন, “আমরা মাদারীপুর থেকে বাস ভাড়া করে লোক নিয়ে এসেছি গোলাপ ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিতে।”
আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাপের নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, “আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি। আমি তাদেরকে পাঁচজন ব্যতীত অন্যদের বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।”