অধ্যাপক কাইয়ুমের বিহষ্কারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বারডেমের চিকিৎসকরা।
Published : 20 Apr 2025, 09:52 PM
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালকের পদ থেকে অধ্যাপক ডা. এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাইয়ুম চৌধুরী ২০২০ সাল থেকে এই পদে ছিলেন।
একই দিন অধ্যাপক ডা. মির্জা এম হাসান ফয়সালকে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
তিনি বারডেমের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও ডায়ালাইসিস অ্যান্ড কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের সার্জন।
দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে ডিজি কাইয়ুম চৌধুরীর পদত্যাগ চাচ্ছিলেন বারডেমের চিকিৎসকেরা। এমন অবস্থায় তিনি ৩২ দিনের ছুটিতে ছিলেন।
রোববার তিনি হাসপাতালে এসে নিজের কক্ষে বসার পর চিকিৎসকেরা হাসপাতালে হট্টগোল করেন। তাকে বহিষ্কারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ ডায়বেটিস সমিতি জরুরি বৈঠক করে কাইয়ুম চৌধুরীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিল।
রোববার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের স্বাক্ষরে অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২০ জুন বারডেমের মহাপরিচালক পদে কাইয়ুম চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৩ মে চাকরির মেয়াদ ২০২৫ সালের ২০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ডা. কাইয়ুম চৌধুরীর কার্যকালে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের যে উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তা গর্বভরে স্মরণ করে। কিন্তু রোববার বাইরের লোকজন নিয়ে হাসপাতালে এসে তিনি বারডেমের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। ফলে বারডেমের চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় তাকে বারডেমের মহাপরিচালক পদে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
“আপনাকে ১৮ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করা হল এবং আপনার নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী ২০ এপ্রিল ২০ জুন পর্যন্ত অগ্রিম বেতন পরিশোধ করে অব্যাহতি দেওয়া হল,” বলা হয়েছে অফিস আদেশে।
অন্যদিকে ডা. মির্জা এম হাসান ফয়সালকে আগামী এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে ডায়াবেটিক সমিতি। এই নিয়োগ ২১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।