টানা ১৮ বছর টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যানের পদে থাকা আজমত উল্লা খানকে ১০ বছর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে হারতে হয়েছিল বিরোধী দল বিএনপির এম এ মান্নানের কাছে।
এবার ভোটে বিএনপি না থাকায় শুরুতে নিষ্প্রভ ভোটের লড়াই জমিয়ে দিলেন আজমতের দল আওয়ামী লীগেরই নেতা জাহাঙ্গীর আলম, নিজে প্রার্থী হতে না পেরে মাকে মেয়র প্রার্থী করে। তার সঙ্গে যোগ হলেন গাজীপুরে বিএনপির প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান সরকার শাহনুর ইসলাম রনি (রনি সরকার)।
ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ নির্বাচনের মাঠে না থাকলেও ভোটের লড়াই উঠেছে জমে। এটা সাম্প্রতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বিভিন্ন নির্বাচনের ভোটার খরার মতো পরিস্থিতি কাটার আভাস দিচ্ছে। আর গাজীপুরে ভোটের রেশ খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ধরে রাখতে চাইবে ইসি, যে ভোটগুলো আগামী মাসেই হবে।
জাতীয় নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময়ে আগে সিটি করপোরেশনগুলোর এই নির্বাচনকে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা; ইসিতে বিরূপ রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফেরাতে গাজীপুরের ভোটকে পরীক্ষা হিসেবে দেখেছেন খোদ নির্বাচন কমিশনাররাও।
এ তো গেল ইসির বিষয়; প্রবীণ রাজনীতিক আজমতের জন্য এটা তার জনপ্রিয়তা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ; দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের জন্য এটা দৃশ্যত রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াই; আর নবীন রনির কাছে অদলীয় প্রতীকে দলের ভোট বাগানোর চ্যালেঞ্জ।
এই সবের মীমাংসা ঘটবে বৃহস্পতিবার ভোটারদের রায়ের মাধ্যমে; এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ট পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১২ লাখ ভোটারের রায়ে নির্বাচিত হবেন একজন মেয়র, আর সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ৭৬ জন কাউন্সিলর।
রাজধানী লাগোয়া এই নগরীর ৪৮০টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত নাগাদ আসবে ফলাফল।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন ২০২৩
ভোটের সময়: বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত
ভোটার: ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২; নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬; হিজড়া ১৮ জন।
পদ: একজন মেয়র, ৫৭ জন কাউন্সিলর এবং ১৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
প্রার্থী: মেয়র প্রার্থী ৮ জন; কাউন্সিলর প্রার্থী ৩২৪ জন।
কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ: ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪৯৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে
ভোটের মাধ্যম: পুরো সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।
গণনা শেষে ফল ঘোষণা হবে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।
গাজীপুরের নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বলেছে, দেশের মানুষ, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাকিয়ে আছে এ নির্বাচনের দিকে। সে নির্বাচনটি অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয়ভাবে সিসি ক্যামেরায় নজর রাখা হবে। ইভিএমে যেন কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি বা ঝামেলা না হয়, সে বিষয়টিতে প্রস্তুতি ও সতর্কতাও রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাজীপুরে দুই-তৃতীয়াংশ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।। সেই সঙ্গে ভোটের দিন প্রার্থীদের শঙ্কার মধ্যে সিসি ক্যামেরা কোথাও ত্রুটি বা বন্ধ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও কমিশনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হবে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হলেও কারিগরি ত্রুটি দ্রুত কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তারও সক্ষমতা এবার সিটি ভোটে দেখাতে হবে।
নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলছেন, এ সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হলেও ভোটে মানুষের অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার যেন ভালোভাবে হয়, সেদিকে নজর থাকবে সবার।
গাজীপুরের নির্বাচনে মেয়র পদে মূলত তিন প্রার্থীর লড়াই হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একজনের ফেরার লড়াই, যিনি জেতার জন্য প্রচেষ্টা নেবেন। আবার আরেকজন দল থেকে বহিষ্কৃত, তারও মা ভোটে রয়েছেন। এটা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জন্যে একরকম চ্যালেঞ্জ। আরেকজন বিএনপি না করলেও তার বাবা-চাচা করেছেন। দলের কানেকশন থাকায় ভোটের লড়াইও এটা প্রভাব ফেলবে।”
হুমকি দিয়ে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগে ভোটগ্রহণের আগের দিনই একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি, যিনি আবার ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা।
আলীম বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের তলব করেছে, একজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটা ইসির শক্ত অবস্থান, ভালো নির্বাচন হতে পারে।
“প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা এমনিতেই কমে যায়। এরপরও অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইসির কঠোর পদেক্ষপ দৃশ্যমান হলে এবং ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারলে আমরা এটা ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক বলতে পারব।”
ভোটের দিনও অনিয়মের বিরুদ্ধে ইসির পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। এখন সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলেও কমিশন ভালো নির্বাচন হলে এক ধরনের স্বস্তিবোধ থাকবে।”
প্রধান প্রার্থীরা যা বলছেন
মেয়র পদে প্রধান তিন প্রার্থীর দুজনই ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমতের আশা, আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি।
শতভাগ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আজমত বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে একটা নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজমান। সুতরাং আমি এখানে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।”
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নৌকার প্রার্থী আগের দিন বলেছিলেন, “নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। নির্বাচনে মানুষ তাদের মনের মতো প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য তারা উৎসুক হয়ে আছে।”
ভোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও জয়ের কথা বলেছেন হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রনি সরকার। তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা কিন্তু কোনোভাবেই আমাদের অনুকূলে নেই। তারপরও আমরা ভোটারদের বলব আমরা মাঠে আছি, যদি পরিবেশ ঠিক থাকে আপনারা আসেন, ভোট দেন। এই একটা সুযোগ এসেছে।”
তিনি মঙ্গলবার বলেছিলেন, “আমাদের এজেন্ট দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা নিজেরাইতো এখন শঙ্কিত, নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে, সেই ব্যাপারে আমরা পুরোপুরি সন্দেহ প্রকাশ করছি।”
এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো এবং ইভিএমে আস্থার কথা জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় তাহলে আমার কোনো অবজেকশন থাকবে না।”
টেবিল ঘড়ি প্রতীকে লড়ছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা। তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার বলেন, তাদের সমর্থক ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
“আমরা নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। …মানুষ আমার মা জায়েদা খাতুনকে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট দিতে প্রস্তুত। যদি সবকিছু ভালো থাকে, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করা হয়; তাহলে মা অবশ্যই জয় পাবেন।”
সব প্রস্তুতি শেষে সুষ্ঠু ভোটের আশায় ইসি
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, বৃহস্পতিবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিনও তারা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
“আমাদের বার্তা স্পষ্ট, আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করছি, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা করলে কোনো ধরনের ছাড় নেই। আশা করছি আমরা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছি। গাজীপুরসহ পাঁচ সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে।”
৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ইভিএমে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ করা যাবে বলে আশ্বাস দেন আহসান হাবিব।
৫ হাজার ২৪৬টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইভিএমে সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে মোট ৪৮০ জন ট্রাবলশ্যুটার, প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে মোট ২৪০ জন (ভ্রাম্যমাণ) টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ১৪ জন সহকারী প্রোগ্রামার এবং চারজন প্রোগ্রামার থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, “ভোট কেন্দ্রে ইভিএম এর জন্য দক্ষ কারিগরি টিমও থাকবে। আশা করি কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সুন্দরভাবে সবাই ভোট দিতে পারবে “।
অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট পর্যন্ত নির্বাচনে বিধি-বিধান প্রতিপালনে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল, আছে ও থাকবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কাউকে কোন ছাড় দেয়া হয়নি এবং ছাড় দেওয়া হবেও না। মেয়ার ও কাউন্সিলর প্রার্থীকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের তলব করার নজির স্থাপন করা হয়েছে এবং একজন কাউন্সিলের প্রার্থিতা বাতিলও করা হয়েছে।”
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রতীক ও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রদান এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, সিটি নির্বাচনে পাঁচ স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে গাজীপুরকে ‘নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে’ দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলার ঘটনা নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, “নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করব। গাজীপুরসহ সারা বিশ্বের লোকজন তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আমরা যাতে একটি ভালো সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারি।”
প্রার্থী সংখ্যা
মেয়র পদে ৮ জন
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৫ জন
মেয়র পদে পাঁচ জন দলীয় প্রতীকে ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে।
মেয়র পদে যারা
আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান (নৌকা)
জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল)
গণফ্রন্ট্রের আতিকুল ইসলাম (মাছ)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান (হাত পাখা)
জাকের পার্টির মো. রাজু আহম্মেদ (গোলাপ ফুল)
স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ‘টেবিল ঘড়ি)
স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি (হাতি)
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ (ঘোড়া)
কে কোথায় ভোট দেবেন
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান টঙ্গীর আরিচপুর এলাকার টঙ্গী দারুস সালাম মাদ্রাসা, লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন টঙ্গী কলেজ রোড এলাকার নিউ ব্লুন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন নগরীর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, হাতি প্রতীকের রনি সরকার টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান এবং গোলাপ ফুল প্রতীকের জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ এরশাদ নগরের চাংকির টেক এলাকার হাজী আলমাছ আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
মাছ প্রতীকের গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম নলজানির বাড়িআলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ ভোট দেবেন উত্তর খাইলকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
যাদের নজরে থাকবে ভোট
ইসিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি দুটি সংস্থার ২০ জন পর্যবেক্ষক; নির্বাচন কমিশনের ১৫ পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের পাঁচশ সাংবাদিক ভোট পর্যবেক্ষণে মাঠে থাকবেন।
ভোটের দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ভোটের আগের দিন বুধবার রাত ১২টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারী যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহযোগিতায় নিয়োজিত গাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগে ব্যবহৃত যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।