গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ইভিএমে ভোট দেবেন যেভাবে

গাজীপুর সিটিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সবকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2023, 03:14 PM
Updated : 24 May 2023, 03:14 PM

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। মোট ৪৮০ কেন্দ্রের ৩ হাজার ৪৯৭ ভোট কক্ষে ভোট দেবেন ভোটাররা। ভোটের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে ব্যবহার করা হবে সিসি ক্যামেরা।

নির্বাচনের দুদিন আগে এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে ভোটার যাচাই ও ইভিএম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটার যাচাই প্রক্রিয়া

নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর ভোটার নম্বরের ভিত্তিতে ভোটকক্ষ খুঁজে নিতে হবে ভোটারদের। লাইনে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত কক্ষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে পৌঁছানোর পর যাচাই করা হবে ভোটারের পরিচয়।

কয়েকটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় শনাক্ত করেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।

  • স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে

  • দশ ডিজিটের স্মার্ট কার্ডের নম্বর

  • ১৭ ডিজিটের লেমিনেটেড এনআইডির নম্বর

  • ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর

  • আঙুলের ছাপ

এর যেকোনো এক পদ্ধতিতে তালিকায় ভোটারের নাম শনাক্ত করার পর মেলানো হবে তার আঙুলের ছাপ।  ছাপ সঠিক হলে ভোটারের ছবি ও ভোট তথ্য সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সামনে একটি মনিটরে ভেসে উঠবে। প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও ভোটার তা দেখতে পাবেন।

কন্ট্রোল ইউনিট থেকে আঙুলের ছাপ মিললে একজন পোলিং অফিসার ভোটার তালিকায় ভোটারের নামের পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখবেন। আরেকজন পোলিং অফিসার ভোটারের আঙুলে লাগিয়ে দেবেন অমোচনীয় কালি। এরপর সেই ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

কোনো কারণে আঙুলের ছাপ না মিললেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বিধি মেনে মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশকে ভোটার হিসেবে শনাক্ত করে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন।

এরপর ভোট

পরিচয় যাচাই শেষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ওই ভোটারের জন্য ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন।

ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে গোপন কক্ষে রক্ষিত ইলেকট্রনিক ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। এরপর ভোটারকে পাঠানো হবে গোপন কক্ষে।

গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোটার ব্যালট ইউনিটের স্ক্রিনে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক থাকবে। প্রত্যেক প্রতীকের পাশে থাকবে একটি করে সাদা বোতাম। 

যাকে ভোট দিতে চাইবেন, মার্কা দেখে তার ডান দিকের সাদা বোতামে চাপ দিলেই তা সিলেক্ট হয়ে যাবে। এরপর ব্যালট ইউনিটের নিচে CONFIRM লেখা সবুজ বোতামে চাপ দিলেই ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।

‘কনফার্ম’ বোতামে চাপ দেওয়ার আগে সর্বোচ্চ দুবার ভোটার পছন্দ বদলানোর সুযোগ পাবেন; তৃতীয়বারে যে সাদা বোতামে চাপ দেবেন, সেটাই তার পছন্দের মার্কা হিসেবে মেশিন গ্রহণ করবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, একই পদ্ধতিতে তিনটি পদের জন্য নির্ধারিত ব্যালট ইউনিটে ভোট দিতে হবে। যদি তিনি কোনো পদে ভোট দিতে না চান, তাহলে ওই ব্যালট ইউনিটের নিচে লাল রঙের ‘ক্যান্সেল’ বোতামে পরপর দুইবার চাপ দিতে হবে।

তিনটি ব্যালট ইউনিটে ভোটার তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই কেবল তার ভোট গৃহীত হবে।

  • ভোটগ্রহণ চলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

  • মোট কেন্দ্র ৪৮০, ভোটকক্ষ ৩৪৯৭।

  • মেয়র পদে আটজন প্রার্থী, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।

  • ভোটে একজন মেয়র, ৫৭ জন কাউন্সিলর এবং ১৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।

  • মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন, ১৮ জন ট্রান্সজেন্ডার।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।