দিনাজপুর জেলায় এবার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে।
Published : 07 May 2024, 01:14 PM
দিনাজপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে লিচুর ফলন হুমকির মুখে পড়েছে।
চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে গাছভর্তি মুকুলে ছেয়ে গেলেও পরে গরমের কারণে ছোট ছোট লিচু ঝরে পড়ে।
বোম্বাই জাতের লিচুর অবস্থা ভালো থাকলেও বেদেনা, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ও কাঠালি জাতের লিচু অর্ধেকও নেই। তারপরও ভাল ফলন পেতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান চাষিরা।
দিনাজপুরে লিচু থেকে মধু উৎপাদনকারী ও বাগান মালিক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “প্রচণ্ড রোদ আর তাপপ্রবাহে লিচুর দানা গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে। সেচ দিয়েও ফলন রক্ষা করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার অর্ধেকও লিচু পাওয়া যাবে না।”
তবে বোম্বাই জাতের লিচুর ভালো ফলন হয়েছে উল্লেখ করে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “এই জাতের লিচুর মুকুল সবার আগে আসে এবং বাজারে উঠেও প্রথম। মুকুল আসার পরে বৃষ্টিও পেয়েছে। সে কারণে বোম্বাই জাতের লিচু ভালো হয়েছে।”
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিচুর জেলা দিনাজপুরে গত বছর ফলন ভালো হয়েছিল। তবে লিচু পাকার সময় গরমে ফেটে যায় এবং কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও গাছভর্তি মুকুল এলেও লিচুর দানা আসার পর পরই বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছে।
দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরুল আহসান বলেন, “এ বছর লিচুর জন্য অন-এয়ার থাকলেও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বেশির ভাগ লিচু ঝরে যাচ্ছে। বেদেনা, “মাদ্রাজি, চায়না থ্রি, চায়না টু ও কাঠালি জাতের লিচুর দানা ঝরে পড়ছে। বোম্বাই জাতের লিচুর দানা স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়ার যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে এবার আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার শঙ্কাই বেশি।
এ অবস্থায় গাছের গোড়ায় ভিটামিন, সার ও কীটনাশক দিতে হবে। অবশ্যই সন্ধ্যার আগে আগে গাছে পানি দিতে হবে বলে জানান এই কৃষিবিদ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এবার জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এখান থেকে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন লিচুর উৎপাদনের আশা করা হচ্ছিল।