“ইউসুফের কোমরে ঘাসের বস্তা বাধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বস্তায় পানি ঢুকে অতিরিক্ত ওজন হয়ে যাওয়ায় তিনি নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।”
Published : 01 Apr 2025, 05:15 PM
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়া কৃষকের মরদেহ চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার এতবারপুর এলাকার নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক।
নিহত ৫০ বছর বয়সী আবু ইউসুফ এতবারপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই ভাই খোকন (৬০) ও ইউসুফ গরুর জন্য ঘাস কাটতে সাঁতরে গোমতীর চরে যান। পরে সকাল ৮টার দিকে ঘাসের বস্তাসহ নদী পার হবার সময় তলিয়ে যেতে থাকেন ইউসুফ। তার চিৎকার শুনে বড় ভাই খোকন এগিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি।
খোকন বলেন, “আমরা সব সময় এইভাবে নদীর ওই পাড়ে গিয়ে ঘাস আনি। আজকে (মঙ্গলবার) আমি আগে নদী পার হয়ে যাই। ইউসুফ পেছনে ছিল, তার সঙ্গে দুই বস্তা ঘাস ছিল।
“আমি পাড়ে ওঠার পর ভাইয়ের চিৎকার শুনে পেছনে ফিরে দেখি সে তলিয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারিনি। শুধু গামছা আর সিগারেটের প্যাকেট ভেসে উঠে।”
পরে স্থানীয়রা এসে ইউসুফকে খুঁজতে শুরু করলেও তার সন্ধান মিলছিল না। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করলে চার ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উদ্ধারকারী ও স্বেচ্ছাসেবী আলাউদ্দিন বলেন, “ইউসুফের কোমরে ঘাসের বস্তা বাধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বস্তায় পানি ঢুকে অতিরিক্ত ওজন হয়ে যাওয়ায় তিনি নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।
“তবে যে জায়গায় ইউসুফ ডুবেছেন সেখানে পানির গভীরতা ৭-৮ ফুট হবে। কিন্তু আমরা সেখানে তন্নতন্ন করে খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। চার ঘণ্টা পর সেখানেই পানির নিচে মরদেহটা উপুড় হওয়া অবস্থায় পেলাম। বিষয়টা অবাক লাগলো! ”
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক জানান, “খবর পেয়ে সকালেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে সাড়ে ১১টায় নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।