নারায়ণগঞ্জের দুই উপজেলা থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার

দেলোয়ার হোসেন নয়ন ও সিরাজুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলার পৃথক স্থান থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ওসিরা।

নিহতরা হলেন- সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরের সিরাজুল ইসলাম (৭০), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত আবু সাঈদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন নয়ন (৪৬) ও এক নবজাতক কন্যা শিশু।

সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুল ইসলাম বলেন, সকালে পিরোজপুরের কান্দারগাও এলাকার একটি মাঠে ঘন ঘাসের ঝোপ থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম গত ৬ এপ্রিল সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরদিন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তার স্বজনরা।

ওসি মফিজুল বলেন, “সিরাজুল ইসলাম শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। ধারণা করছি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনও অস্বাভাবিক কোনো কিছুর অভিযোগ করেননি।”

তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেলোয়ার হোসেন নয়নের মরদেহ।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, নয়ন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওই এলাকা থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, “মরদেহের কন্ডিশন অনুযায়ী অন্তত দুইদিন আগে নয়ন খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছি। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি কী কারণে এই এলাকায় এসেছিলেন কিংবা কীভাবে খুন হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।”

নিহতের চাচাতো ভাই সুমন তালুকদার মোবাইলে বলেন, “দেলোয়ার পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। গাজীপুরে থাকতেন তিনি। ”

যদিও তার খুন হওয়ার পেছনে এখন পর্যন্ত কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে, একই উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসার বেড়িবাঁধ এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভিটি থেকে এক কন্যা নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সকালে কাপড়ে মোড়ানো মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।