মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Published : 31 Dec 2024, 11:21 AM
তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘন কুয়াশার আর হিমেল বাতাসে জবুথবু জনজীবন। সেই সঙ্গে চরম দুর্ভোগে পতিত হয়েছে গৃহপালিত ও অসহায় পশুপাখিরাও।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেলা গড়ালেও দেখা মিলছে না সূর্যের। সকাল সাড়ে ১০টায়ও প্রকৃতি ছিলো ঘন কুয়াশায় ঢাকা। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সাথে যাতায়াত করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না।
কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষগুলো। গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে, এর মধ্যে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিতরণ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের একতা পাড়া এলাকার রহিমা বেগম বলেন, “খুব ঠান্ডা, বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তারপরেও আমরা কাজের সন্ধানে বাহির হইছি। কি আর বলি- পেট তো আর ঠান্ডা বোঝে না।”
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “গত একমাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।”
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
তীব্র শীতে কুড়িগ্রামের সড়ক-নৌ-রেলপথে চলাচল বিঘ্নিত